করোনা মোকাবেলায়
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ব্রিফিং
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২০, ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
করোনা ভাইস মোকাবেলায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ব্রিফিং করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা সরঞ্জামাদী ঢাকা থেকে এসেছে এবং স্থানীয়ভাবেও কিছু সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন কাজ চালানোর মতো ব্যবস্থা হয়েছে। ১০ শয্যার পৃথক আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৪৩ জন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ১২ জনের।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় হাসপাতালের চারতলায় নারী ও পুরুষের জন্য দুটি পৃথক আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করা হয়েছিল। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসপাতারের মূল ভবন থেকে পৃথক স্থানে একটি একতলা ভবনকে তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করে আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। এতে ১০ শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অপর দিকে সর্দি, কাশি, জ¦র ও শ^াস কষ্টের রোগীদের জন্য হাসপাতাল ভবনের একটি কক্ষে আলাদা ‘ফিভার কর্ণার করা হয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা সরঞ্জামাদী সংগ্রহ এখনো চলছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক পার্থ সারথী দত্ত কানুনগো জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা সরঞ্জামাদী কিছু ঢাকা থেকে এসেছে এবং স্থানীয়ভাবেও কিছু সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন কাজ চালানোর মতো ব্যবস্থা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের আরএমও ডা. আহমেদ ফয়সল জামান এবং সিভিল সার্জন অফিসের একজন মেডিকেল অফিসার ডা. রোকসানা ওয়াহিদ রাহি ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে আজ ২১ মার্চ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সকল ডাক্তার ও নার্সদের ব্রিফিং করেছেন।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. তওহিদ আহমদ জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার জেলায় এখনো পর্যন্ত ৩৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ১২ জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। দুইজন রোগীর নমুনা পাঠানো হয়েছিল ঢাকায়। একজনের ফলাফল এসেছে নেগেটিভ। অন্যজনের রিপোর্ট এখনো আসেনি।