মৌলভীবাজারের কাগাবলায় বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত : আহত ১০ পুলিশ সদস্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বুলু (৪০) নামের এক ডাকাত মারা গেছে। আহত হয়েছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসিসহ পুলিশের ১০ সদস্য। ডাকাত দলের অপর ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, গ্রিল কাটার যন্ত্র ও তিনটি শাবল উদ্ধার করেছে।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আথানগিরির বুরুতলা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের ছালিক বেগের বাড়িতে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতি শেষে বেরিয়ে গেলে কেউ ৯৯৯ এ ফোন করে ডাকাতির বিষয়টি জানান। এর পরপরই সদর মডেল থানার পুলিশের বিভিন্ন টহল দল ডাকাতদের আটক করতে অভিযানে নামে। ডাকাতেরা তখন হাওরের দিকে পালিয়ে যায়। পুলিশ বিভিন্ন সড়কে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে কাগাবলা ইউনিয়নের বুরুতলা স্কুলের কাছে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে থামার জন্য পুলিশ সংকেত দেয়। এ সময় পুলিশের সংকেত অমান্য করলে রাস্তয় বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকত সৃষ্টি করা হয়। তখন ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগানের গুলি ছোড়ে। সে সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত বুলুর বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর থানায়। পুলিশের হাতে আটক ডাকাত লাল মিয়ার (৪৫) বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় ও আফজল মিয়ার (২২) বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আথানগিরি গ্রামে। অন্যান্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনার সময় সদর মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন, এসআই সুলতান আহমদ, নুরুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম, এএসআই কোরবান আলী, কনস্টেবল সুরঞ্জিত, নিরুপম, ফুয়াদ, গোলাম হাবিব ও নিলয় আহত হয়েছেন। তাঁরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ডাকাত নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতি হওয়া সকল মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আগামীকাল আটক ২ ডাকাতকে আদালতে হাজির করা হবে।