শ্রীমঙ্গলে স্কুলছাত্র হত্যাকান্ড, আদালতে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ৫:২১ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গলে স্কুলছাত্র ইবরাহিম মিয়া রকির (১৫) হত্যাকারী দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা রকিকে পূর্বশত্রুতার জেরে গলাচেপে হত্যা করার বিষয়ে মৌলভীবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাব্বির (১৫) ও ফয়ছল (১৭)। সাব্বির রকির সাথে শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া স্কুলে একই সাথে পড়তো।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গল লাউয়াছড়া সড়কের জেমস ফিনলে কোম্পানির ভুরভুরিয়া চা বাগানের ভেতর থেকে ইবরাহিম মিয়া রকির (১৫) লাশ গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ইবরাহিম মিয়া রকি শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে শ্রীমঙ্গলের জালালিয়া সড়কের দুলাল মিয়ার ছেলে। নিহতের বাবা পেশায় মাংস ব্যবসায়ী।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি তদন্ত সোহেল আহমদ আজ ১৫ জানুয়ারি পূর্বদিককে বলেন, নিহত রকি ও ঘাতক সাব্বির শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। রকির সাথে মাসখানেক আগে একটি বিষয় নিয়ে সাব্বিরের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রকি সাব্বিরকে মারধর করে। এর প্রতিশোধ নিতে সাব্বির গত (১৪ জানুয়ারি) রকিকে আগের ঝগড়ার বিষয় ভুলে যেয়ে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে ফোন করে। এবং ফোনে সে রকিকে বেড়ানোর কথা বলে। রকি সাব্বিরের কথায় তার সাথে বেড়াতে যায়। এদিকে সাব্বির পূর্বপরিকল্পিতভাবে রকিকে লাউয়াছড়ার জেমস ফিনলে কোম্পানীর ভুরভুরিয়া চা বাগানের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে ফয়ছল (১৭) নামের তার এক সহযোগীকে নিয়ে রকির মুখে প্রথমে কসটেপ লাগিয়ে গলাটিপে হত্যা করে। পরে তার সাথে থাকা চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে বাগানের একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে। এঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্ধিগ্ধ সাব্বির ও ফয়ছলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয় পুলিশের কাছে স্বীকার করলে আজ ১৫ জানুয়ারি দুজনকে মৌলভীবাজার আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামীদের মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা মমতাজ বেগম শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।