ব্রাহ্মণবাজারে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১ ডিসেম্বর ২০১৯, ৪:২১ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে এবং সরকারি জমি জবরদখর করে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান শাহীন। প্রায় ১৩ বছর ধরে ভাড়া ও দোকান কোটা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার হয়নি।
এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,, উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ বাজারটি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাজার। রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এবং কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়কে বাজারটির অবস্থান হওয়ায় এই বাজারটি একটি মিনি শহরে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম বাজার এলাকায় জালাবাদ মৌজার জেএল নং ৭৬,খতিয়ান নং ০২, দাগ নং ১০১৯২ তে ১২ শতক ভুমি সড়ক ও জনপথের। উক্ত ভূমিটি ব্রাহ্মণবাজারের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান শাহীন জোরপূর্বক দখল করে তাতে স্থায়ীভাবে মার্কেট নিমাণ করেন। প্রায় ১০ বছর থেকে তিনি দোকান কোটা ভাড়া দিয়ে টাকা আদায় করছেন। সেখান থেকে কয়েকটি দোকান বিক্রিও করেন তিনি। রাতে এইস্থানে গাড়ী পার্কি করে রাখায় বাজারের নিরাপত্তা বিঘিœত হয়।
২০১৮ সালে মো. শরীফ আহমদসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ গণস্বাক্ষর দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরে দেয়া হয়। কিন্তু তার কোন প্রতিকার মেলেনি।
২০১৯ সালে ১৬ জুলাই শুধুমাত্র পানি নিষ্কাশনের রাস্তার ও খাল দখলের অভিযোগ করে ব্রাহ্মণবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. রমিজ উদ্দিন আরেকটি অভিযোগ দেন স্থানীয় এমপি সুলতান মো. মনসুর আহমদের কাছে। সেই অভিযোগটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রেরণ করেন। এই অভিযোগের পর ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) মো. সাইফুর রহমান শাহীন জানান, জায়গাটি সড়ক ও জনপথের নয়। ভুলক্রমে সড়ক ও জনপথের নামে রকের্ড হয়। এর মুল মালিক তীর্থ মনি নমসুত্র। তার কাছ থেকে সমরেন্দ্র শর্মা জায়গাটি কিনেন। রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা চলছে। সমরেন্দ্র ১২ দোকান কোটার মধ্যে ৫টি দোকানকোটা অন্যজনের কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি এককোটা ভাড়া নিয়ে তাতে দলীয় (আওয়ামী লীগের) কার্যক্রম চালান। একটা পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে সহকারি কমিশনা (ভুমি) অবৈধ দখলীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা উদ্যোগ নিলেই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।