কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষ পূর্তিতে
কমলগঞ্জে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ৮:২৫ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষ পূর্তিতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৬ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১২টায় আম্বিয়া কেজি স্কুল প্রাঙ্গনে স্কুলের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভাষা বিজ্ঞানী ড. সেলু বাছিত।
আম্বিয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিকদে শাব্বীর এলাহীর পরিচালায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর।
অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মিঞা, তাজপুর ডিগ্রী কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ড. রনজিৎ সিংহ, কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, আব্দুল গফুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন, কথা সাহত্যিক সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন লেখক ও গবেষক আহমদ সিরাজ ও আব্দুল হান্নান চিনু।
প্রধান অতিথি ড. সেলু বাসিত বলেন, সিলেটে রবীন্দ্রনাথের আগমনে তাঁর বক্তব্য সাধনা আর আকাক্সক্ষায় শ্রুতিফল থেকে আমরা পেলাম ‘বহুজ্ঞান চক্ষু বিশিষ্ট সৌমাদি’ সৈয়দ মুজতবা আলী। রবীন্দ্রনাথ সান্নিধ্যে মুজতবার মানস গঠন আর বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাশৈলীর রচনাসম্ভার। ইতিহাস থেকে জানা ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ শ্রীহট্ট তথা সিলেট ভ্রমণে আসেন। তিনি আরও বলেন, সিলেটের প্রশাসনিক কারণে ব্রিটিশ ভারতে আত্মপরিচয় সংকট উত্তরণে রবীন্্রদনাথের ভ্রমণ ছিল শ্রীহট্টবাসীদের জন্য এক প্রেরণা বিশেষ।
মুখ্য আলোচক ড. মুহম্মদ আলমগীর বলেন, নিজেদের প্রয়োজনেই রবীন্দ্র কাব্য, সাহিত্য অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। আমরা যেখানে আটকে পড়ি সেখানেই রবীন্দ্র কাব্য-সাহিত্য আমাদের সহযোগিতা ও নিজেদের জ্ঞানের পথ প্রশস্ত করে দেয়।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।