কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, পুলিশের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ৬:১৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে ৭ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এবার ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা। আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার এই অভিযোগ করা হয়। পুলিশ ধর্ষণের কথা বললে ধর্ষিতার ফাঁসি হবে এরকম ভয়ভীতির অভিযোগ আনা হয়।
পুলিশ সুপারের কাছে ধর্ষিতা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- আমি ভাটেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। নিরুপায় হয়ে আপনার দ্বারস্থ হলাম। গত ২৪ অক্টোবর আমি স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে দুপুর অনুমান দেড়টায় ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের একটি টিলার পাশে দক্ষিণভাগ গ্রামের আনিছ মিয়া ও ভবানীপুর গ্রামের শানু আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। নতুবা তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতো। ওইদিন সন্ধ্যায় আমার মা বাবা আমাকে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান। সেখানে আমার কাছ থেকে ঘটনা জেনে অভিযোগ লেখা হয়। সেখানে আমি স্পষ্ট বলেছি যে, আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এরপর থানায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে এসআই খসরুল আলম বাদল, এসআই সনক কান্তি দাস, মহিলা কনস্টেবল রোজিনা আমাকে নানা ভয় দেখিয়ে বলে যে, ধর্ষণের কথা বললে আমারও জেল ফাঁসি হবে। গভীর রাতে আরেক অফিসার আবার আমার কাছ থেকে জবানবন্দি নেন এবং আমাকে না জানিয়ে তা রেকর্ড করেন। আমাকে এমনভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, আমি সত্য কথা তখন বলতে পারিনি। (কুলাউড়া থানার মামলা নং ২০)।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়Ñ ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কুলাউড়া থানা পুলিশ মূল আসামীকে ধরতে পারেনি। এদিকে আসামী পক্ষ বিষয়টি শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। শেষ না করলে আমাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি গরীব পরিবারের সন্তান। আমার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে আমি শিক্ষক হবো। আমার সব শেষ করে দিলো ওই দুই লম্পট।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সরেজমিনে একজন অফিসার পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।