রাজনগরে স্কুল ছাত্র অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
রাজনগরে মাসুম আহমদ (১৪) নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্র অপহৃত হয়েছে। অপহরণকারীরা ওই ছাত্রের মায়ের মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। ছেলেকে নিতে হলে টাকা দিয়েই নিতে হবে বলে জানিয়েছে অপহরণকারী চক্র। গত মঙ্গলবার বিকালে অপহরণ করা হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত মাসুম আহমদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভুজবল গ্রামের প্রবাসী সুলেমান মিয়া ওরফে তাজিল মিয়ার ছেলে। অপহৃতের চাচা মুক্তার মিয়া রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজী গজনফর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ও একই ইউনিয়নের ভুজবল গ্রামের প্রবাসী তাজিল মিয়ার ছেলে মাসুম আহমদ (১৪) গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার সময় চুল কাটার কথা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ীতে না আসায় তার খোঁজ পড়ে। এসময় গ্রাম ও এর আশপাশ এবং বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তার খোঁজ করেন। তাকে কোথাও না পেয়ে পরিবারের সকলেই চিন্তিত ছিলেন। এ সময় রাত একটার দিকে মাসুম আহমদের মায়ের মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় ‘১০ লক্ষ টাকা দিলে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। থানা পুলিশ করে কোন লাভ নেই। টাকা কোথায় নিয়ে যাবেন তা পরে জানাবে।’
একথা বলে সংযোগ বিচ্ছিহ্ন করে দেয় অপহরণকারী চক্র। এর কিছুক্ষণ পরেই ফোন করে ‘টাকা রেডি হয়েছে কি না জানতে চায়, এবং বলে সিলেটের মালনি ছড়া বাগানের নিয়ে যেতে হবে। এদিকে টাকা দেয়ার ব্যাপারে কয়েকবার ফোন দেয়। পরদিন বুধবার এ ব্যাপারে রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মাসুম আহমদের চাচা।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় কিন্তু কোন খোঁজ পায়নি। মাসুম আহমদ অপহৃতের ঘটনায় তার চাচা মুক্তার মিয়া (৬৩) রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়রি ( নং-৮১৫, তারি. ১৮-৯-১৯) করেছেন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার অপহরণকারীরা ফোন করে বলে, ‘ থানা পুলিশ না করার জন্য বলেছিলাম। থানা পুলিশ কি তাকে বের করে দিতে পারবে? ১০ লাখ টাকা ছাড়া তাকে পাবে না এবং টাকা রেডি করার জন্য বলে। এসময় মাসুমের চিৎকারও শোনায় অপহরণকারীরা।
এ বিষেয়ে রাজনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ সালেক বলেন, অপহরণের খবর শুনে আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। এ বিষয়ে জিডিও করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিমের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে জিডির তদন্ত অফিসার বিনয় ভূষণ দেব বলেন, আমরা যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন সুত্রে অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করছি তাকে সুস্থ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।