কুলাউড়ায় জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ আগস্ট ২০১৯, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
নাজমুল ইসলাম, কুলাউড়া ::
ঈদুল আজহায় কুরবানি দিতে আগে থেকেই গরু ক্রয় করতে শুরু করেছেন এ অঞ্চলের লোকজন। ঈদের কয়েকদিন আগেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ পশুর হাট ব্রাহ্মণবাজার গরু, মহিষ, ছাগলের হাট। গরুর হাটের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে পুলিশের বিশেষ টিম। পাশাপাশি পৌরসভার উদ্যোগে স্কুল চৌমোহনী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বিশাল পশুর হাট।
এছাড়াও উপজেলার রবিরবাজার, ভুকশিমইল নবাবগঞ্জ বাজার, ভাটেরা বাজার, হাজিপুর পীরের বাজার, বরমচাল ফুলেরতল বাজারে ধীরে ধীরে জমে উঠছে কুরবানির পশুর হাট। চাকরীজীবী ও প্রবাসীরা এখন থেকে তাদের পছন্দের গরু-ছাগল ক্রয় করতে ভিড় জমাচ্ছেন এসব পশুর হাটে। গরু ছাগলের পাশাপাশি বিশাল মহিষের হাট বসে ব্রাহ্মণবাজারে।
এমনিতেই সারা বছর সরগরম থাকে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার পশুর বাজার। বাজারের নির্ধারিত সাপ্তাহিক হাটবার সোমবার দিন ছাড়াও কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে কুরবানি পশুর বেচাকেনা।
ব্রাহ্মণবাজারে এ পর্যন্ত পশুর দাম ভালো থাকায় খোশ মেজাজে আছে বিক্রেতারা। মৌলভীবাজার জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা ইউনিয়ন থেকে এই বাজারে আনা হয় বিভিন্ন জাতের বড়-বড় গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া। কিছু-কিছু ব্যবসায়ীরা দূর-দুরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে কোরবানির পশু আনছেন বিক্রির জন্য। আবার দূর-দুরান্ত থেকে সুলভ মূল্যে কোরবানির পশু ক্রয় করতে অনেক ক্রেতারা এসব বাজারে। বিশেষ করে মহিষ ক্রয় করতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন ব্রাহ্মণবাজারে।
গরু কিনতে আসা ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার মোহাম্মদ লিটন মিয়া বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই ব্রাহ্মণবাজারে অন্যান্য স্থানের তুলনায় এখানে ভালো মানের পশু পাওয়া যায়। তাই নিজেই পছন্দের পশু কিনতে চলে আসলাম।
ব্রাহ্মনবাজার পশুর হাটের ইজারাদার নাহিদ হোসেন, পৌরসভার পশুর হাটের ইজারাদার মাহবুবুর রহমান মাছুম জানান, বাজার ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। গ্রাম পর্যায়ের কোরবানি দাতারা পশু আগাম ক্রয় করে নিলেও শহরে বসবাসকারী অনেকে ঈদের দুই একদিন আগে উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে তাদের পছন্দমতো পশু ক্রয় করে থাকে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, কুরবানির পশুর হাটকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষে বিশেষ পুলিশের টিম সার্বক্ষনিক মাঠে থাকবে। পাশাপাশি ছিনতাই ও প্রতারকদের রোধ করতে ইজারাদারদের হাটে সিসি লাগানোর জন্য আমাদের থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।