শিশু পলাশের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে কুলাউড়ায় মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ আগস্ট ২০১৯, ৬:২৫ অপরাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
কুলাউড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের স্কুলছাত্র পলাশ হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে আজ ৪ আগস্ট রোববার স্থানীয় জনতা বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ একাত্মতা পোষণ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা পলাশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রাহেল আহমদ, জাহেদ আলী ও তার পিতা মির্জান আলীর ফাঁসির দাবি জানান। এরা এলাকায় খারাপ লোক হিসেবে চিহ্নিত। তাদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও সাবেক মেম্বার আব্দুল জলিলের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন প্রভাষক আফাজুর রহমান চৌধুরী, ছাত্রনেতা জীবন রহমান, মেম্বার ছালিক আহমদ, মেম্বার জমশেদ আলী, মহিলা মেম্বার বৃন্দা রানী গোয়ালা, শিক্ষক সঞ্জয় দেবনাথ, ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে নিহত স্কুল ছাত্র পলাশ শব্দকরের বাবা পরিমল শব্দকর ও পলাশের মা উপস্থিত হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিমল শব্দকর তার বক্তব্যে বলেন, ঘাতকদের সাথে আমার বা আমার ছেলের কোন বিরোধ ছিলো না। তারপরও তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আর যেন এভাবে কোন মায়ের বুক খালি না হয়। তিনি হত্যাকারিদের ফাঁসি চান।
উল্লেখ, গত ৩১ জুলাই বুধবার সকাল ১১টায় নিখোঁজ হয় পলাশ। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে পরদিন ১ আগ ব বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার লাশ কালিটি চা বাগান এলাকায় পাওয়া যায়। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে একই এলাকার মির্জান আলীর পুত্র জাহেদ আলী (১৫) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পলাশের লাশ কালিটি চা বাগান এলাকা থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত জাহেদের পিতা মির্জান আলী (৪৫) ও চাচাতো ভাই চান মিয়ার পুত্র রাহেল আহমদ (২৬) কে আটক করে।
ঘটনার পর কুলাউড়া থানা পুলিশ জানায়, জাহেদ ও রাহেল চা বাগান এলাকায় একটি গাছ থেকে পাখির বাসা থেকে বাচ্চা নামাতে পলাশকে গাছে তুলে। একপর্যায়ে সে গাছ থেকে নামতে গিয়ে পা ফসকে নিচে পড়ে পা ভেঙে যায়। এ সময় শিশুটি জ্ঞান হারেিয় ফেলে। পরে জাহেদ ও রাহেল ভয়ে শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।