কমলগঞ্জে বিভিন্ন জলাশয় থেকে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাঁশের খাঁটি অপসারণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুন ২০১৯, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ বাঁশের খাঁটি অপসারণ করা হয়েছে। আজ ১২ জুন বুধবার সকালে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযানে নিষিদ্ধ এসব বাঁশের খাঁটি জব্দ করা হয়।
জানা যায়, শমশেরনগর কেছুলোটি, সতিঝির গ্রাম, পতনঊষারের ধুপাটিলা, মকাবিল, শ্রীসূর্য্য, হালাবাদি, মাইজগাঁও, পতনঊষার, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রূপসপুর, বনবিষ্ণপুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে স্থানীয় অসাধু একটি চক্র নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ও বাশেঁর খাঁটি পুতে মাছ শিকারে তৎপর হয়ে উঠছে। কারেন্টজালে আটকা পড়ে মাছের পোনা থেকে শুরু করে মা মাছ, সাপ, ব্যাঙ, কুচিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। অবৈধ বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করার কারণে পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা ও মাছের গতিপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই রহিমপুর ইউনিয়নের পালিতকোনা ও ফরকানালায় কয়েক হাজার টাকা মূল্যের বাঁশের খাঁটি অপসারণ করা হয়েছে।
এ সময়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদ উল্ল্যাা, কমলগঞ্জ থানার এসআই তোফায়েল ইসলামসহ পুলিশ একটি দলের সহায়তায় বাঁশের খাঁটি অপসারণ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত বাঁশের খাঁটি অপসারণ করে নিলামে বিক্রি করা হয়।