বিয়ানীবাজারে ওলামালীগ নেতার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ।। গ্রেফতার ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ জুন ২০১৯, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার সংবাদদাতাঃ
বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়ন ওলামালীগের ওয়ার্ড সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ মৌলভীর মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার দুবাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত সবাই দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াভরা গ্রামের বাসিন্দা এবং জাসদ (রব গ্রুপের) কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত্র সূত্রমতে,সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে দ্রুত এই ৫ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে,গ্রেফতারকৃতরা হলেন-বামপন্থী সংগঠন ‘ছাত্রমৈত্রী’র এমসি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান,তার ছোট ভাই,জাসদ ছাত্রলীগের দুবাগ ইউনিয়ন শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান মুন্না,তার বাবা দুবাগ বাজারের ব্যবসায়ী জামাল আহমেদ,ব্যবসায়ী সনজিত দাসের ছেলে রনজিত দাস এবং খাড়াভরা সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি পিনাকী রঞ্জন ঘোষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন,’ওলামালীগ নেতা ফেরদৌস মৌলভী গাড়ি পুড়ানোর অভিযোগে ১৫ জনকে আসামী করে শনিবার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্তভার নিয়ে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চালিয়ে দ্রুত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকী আসামীদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার (৭ জুন) গভীর রাতে দুবাগ বাজারে কে বা কারা ওলামালীগ নেতা ফেরদৌস আহমেদ মৌলভীর মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফেরদৌস মৌলভী শুরু থেকেই এ ঘটনার জন্য বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত জামাল আহমেদের পরিবার ও তাদের সহযোগীদের দায়ী করছিলেন। তাই শনিবার তিনি বাদী হয়ে জামাল আহমদ,তার দুই ছেলে এবং তাদের সহযোগী সহ ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার দিন বিকেলেই পুলিশ প্রধান ৫ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে দুবাগ ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের নেতারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন যে,ফেরদৌস মৌলভী সহ সরকারী দলের নেতারা দুবাগে জাসদ নেতাকর্মীদের
কে মামলা দিয়ে,গ্রেফতার করে হয়রানী করছেন। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। সরকারী দলের নেতা ফেরদৌস মৌলভী হিন্দু ধর্মের নারী ও শিশুদেরকেও রেহাই দিচ্ছেন না। নানাভাবে তাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন।