বড়লেখায় নিহত মহিলা আইনজীবির মোবাইল ফোন উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০১৯, ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারে বড়লেখায় নিহত মহিলা আইনজীবি আবিদা সুলতানার ব্যবহার করা দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যা মামলার আসামী মসজিদের ইমাম মাওলানা তানবির আলমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শ্রীমঙ্গলের বরুনা মাদ্রাসা এলাকা থেকে একটি সাধারণ এবং একটি অপো ব্রান্ডের এনড্রয়েড ফোন উদ্ধার করা হয় ।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ের মধ্যে আইনজীবি আবিদা সুলতানা সবার বড়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন। আবিদা সুলতানার বাবার বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে পরিবার নিয়ে থাকতেন মাধবগুল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তানভীর আলম। তার বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার আমান্দি গ্রামে। তার পিতার নাম মইনুল ইসলাম। ২৬ মে রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আবিদা বোনের বাড়িতে বিয়ানীবাজার থেকে জরুরী প্রয়োজনে বাবার বাড়িতে যান। আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পেয়ে বাবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল রগ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে তারা কাউকে পাননি। এ সময় ঘরের একটি কক্ষ বন্ধ দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশ নিয়ে গিয়ে ঘরের মেঝেতে বোনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ নিয়ে গিয়ে কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা তানভির আলম পলাতক ছিলেন। পরের দিন পুলিশ তাকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা এলাকা থেকে আটক করে।
এদিকে নিহতের স্বামী বড়লেখা থানায় মাওলানা তানভির আলম ও তার পরিবারের তিন সদস্যের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এর আগে তানভির আলমের স্ত্রী ও মা কে আটক করে। মঙ্গলবার পুলিশ তিন আসামীকে বড়লেখা জৈষ্ঠ বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে হাজির করে রিমান্ড প্রার্থনা করে। আদালত প্রধান আসামী তানবির আলমোর ১০ দিন এবং তার স্ত্রী হালিমা সাদিয়া ও মা নেহার বেগমের ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান আসামী মাওলানা তানভির আলমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গলের বরুনা মাদ্রাসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানভির আলমের ব্যবহৃত ব্যাগের ভিতর থেকে নিহত আইনজীবির প্রথম একটি নরমাল মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এরপর আজ দুপুরে ্একই এলাকায় এক গাড়ি চালকের নিকট থেকে নিহত মহিলা আইনজীবির অপো ব্রান্ডের এনড্রয়েড ফোন উদ্ধার করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক ঘটনার সত্যতা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন প্রধান আসামী তানবির আলম হত্যাকান্ডের পর বরুনা মাদ্রাসা মসজিদে ইতেকাফের নামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এই সময় এনড্রয়েড ফোনটি এক চালকের কাছে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে । সেই তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার করা হয়।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিনুল হক জানান,আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রধান আসামীর দেয়া তথ্যেও ভিত্তিতে নিহতের ব্যবহার করা দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।