কমলগঞ্জে প্রত্যন্ত এলাকার ভোটারদের ভাবনা ‘ভোট দিলেই কিতা আর না দিলেই কিতা’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মার্চ ২০১৯, ৭:৫২ অপরাহ্ণ
জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ ::
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬টি উপজেলায় আগামীকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার ভোটারদের মধ্যে এখনও তেমন উত্তাপ পরিলক্ষিত হয়নি। অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এ নির্বাচনে ভোট প্রদান নিয়ে নানা ভাবনার কথা বলছেন ভোটাররা। আজ রোববার কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বলে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ্য ৭৯ হাজার ৪শ’ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৯ হাজার ৫৬৪ ও মহিলা ৮৯ হাজার ৮৩৬ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪৫৬টি। উপজেলার পতনউষার এলাকার নি¤œবিত্ত পরিবারের গৃহিনী সায়রা বেগম। সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাজ কাম রেখে কে ঠেকছে ভোট দিতে যাইতে। তারাই বাবু, চেয়ারম্যান, মেম্বার, সরকার। ভোট দিলেই কিতা আর না দিলেই কিতা।’
একই এলাকার শেলী বেগম বলেন, ‘আমরা ভোট দিতাম আর তারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান অইবা। কোন দরকারে তারার কাছে গেলে আমরা গরিবের কথাটাও হুনইন (শুনেন) না। আর এখন ভোট দিতাম।’ কৃষক মো. আলমঙ্গীর ও শেরওয়ান আলী বলেন, ‘নিজেদের কাজই শেষ করতে পারছি না, আর ভোট দেয়ার সময় আছেনি আমাদের। আগের নির্বাচনের মতো ভোটের লাগি কেউ অত অনুরোধ করের না আর নির্বাচনের মজাও লাগের না।’ চা শ্রমিক রাজদেও কৈরি ও দেওরাজ রবিদাস বলেন, ‘ভোট তো আইলো তবে আগের যে একটা আগ্রহ ছিল এখন সেটা নাই। কি হয় না হয় ভোটের দিন বুঝতে পারবো।’ দিনমজুর আব্দুস ছত্তার ও মানিক মিয়া বলেন, ‘ভোটের মজা এখন আর নাই। একই দলের মাজে হকলতা। ভোট দিলেও পাশ, না দিলেও পাশ করবা ই-কথা হকলেউ কইরা।’
উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার দাবি করেন নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি থাকবে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের বিভিন্ন সময়ের মতো উপজেলার কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, আসলে সেভাবে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি রাখবে।