সরকারের প্রতিহিংসার কোপানলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
তাজুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে:
৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের কবল থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হয়েছিল পতন হয়েছিল তখনকার স্বৈর শাষক এরশাদের।তখন মনে হয়েছিল স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশে আর নতুন কোন স্বৈরচারের আগমন হবে না, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের ক্ষমতা চিরস্হায়ী করতে তখনকার দিনের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শরিক দলটি আজকে নিজেরাই আবার স্বৈরাচারের ভুমিকায়। দুই যুগের কাছাকাছি এসে নব্বইয়ের পতিত স্বৈরাচার আজ বর্তমান স্বৈরচারী সরকারের সঙ্গে একাকার হয়ে দেশে একটি ভয়ঙ্কর-নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী শাষন ব্যবস্থা কায়েম করে চলছে। বর্তমান স্বৈরচারী সরকারের প্রতিহিংসার কোপানলে এক চরম নিষ্ঠুর অবিচারের শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের বর্তমান অবস্তা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানুষ যেন বসবাস করছে যুদ্ধ বিধস্ত কোন একটা দেশে।স্বাধীন সার্বভৌম একটা দেশের গনতান্ত্র যেন নব্য স্বৈরচারের পদতলায় পদদলিত হয়ে যেন মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছে।হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পাহাড় নিয়ে সরকারী দলের নেতারা ঘুড়ে, তবে কেন দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে লোহার শিকলে বন্দী করে রাখে? দেশনেত্রীর তো একটাই অপরাধ তিনি জনগনের অধিকার আদায়ের কথা বলেন, তিনি জনগনের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেন। সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরন দেখে মনে হয় দেশনেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠে জালিমের প্রাসাদ কেঁপে ওঠে। আজ বাংলাদেশের কোটি সন্তানের কণ্ঠে একই সুর “আমার নেত্রী আমার মা”। আজ মায়ের কোটি সন্তানের ভালোবাসার ডাকও যেন স্বৈরচারীদের কাছে অপরাধে পরিনত হচ্ছে।যার জন্য মায়ের লাখো সন্তানকে প্রতিদিন স্বৈরাচারের শিকল পরিয়ে অন্যায়ভাবে জালিমের কারাগারে বন্ধী করা হচ্ছে।আজ যদি বলি একজন ব্যক্তি খালেদা জিয়াকে বন্দী করা হয়েছে সেটা হবে ভুল, বন্দী করা হয়েছে পুরো বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে, বন্দী করা হয়েছে কোটি মানুষের ভালোবাসাকে।কারারুদ্ধ মা’য়ের অপমানে ঢুকরে ঢুকরে কাঁদছে পুরো বাংলাদেশ।কোটি মানুষের মুখে আজ একটা শ্লোগানের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে “আমার নেত্রী আমার মা, বন্ধি থাকতে দিবো না”। মা আজ বাকশালের শিকলে বন্ধি কিন্তু মায়ের কোটি সন্তান নিয়মিত শিকলের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছায়ার মতো। মায়েরা অনেক কষ্ট সহ্য করেন এবং অনেক সময় মুখে কিছু না বলে নীরবে অশ্রুপাত করেন। সবাই একটা কথাই মনে করছেন স্বৈরচারের কারাগারে বন্ধী মা নিশ্চয়ই তার কোটি সন্তানের জন্য নীরবে অশ্রুপাত করছেন। মায়ের সেই অদৃশ্য কল্পিত কান্না প্রত্যেকটা নেতা কর্মীর বুকে ক্রমাগত শেলের মতো বিঁধতে আছে।অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে বন্ধী করে যে কষ্ট দেয়া হচ্ছে তাতে কেবল দলের নেতাকর্মী নন,প্রত্যেকটা বিবেকবান মানুষ তাঁকে মাতৃমুর্তি হিসাবে হ্রদয়ের গহীনে গ্রথিত করছে।মানবতাবাদী গণতন্ত্রকামী মানুষের হৃদয়ে তিনি আছেন মায়ের আসনে। হামলা মামলা নির্যাতন দিয়ে আর যাই হোক সন্তানের কাছ থেকে তাঁর মায়ের ভালোবাসা কেড়ে নেয়া সম্ভব হবেনা। মাতৃমুর্তির যেই উচ্চতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৌঁছেছেন, তা কিন্তু অনেক রাজনীতিকের ভাগ্যেই জোটেনি।
অন্ধকার ঐ বন্দীশালায় কাটছে তোমার দিন,
মাগো তুমি নও একাকী নও গো সঙ্গিহীন।
তোমার জন্য কাঁদছে মানুষ জাগছে সারাদেশ,
মাগো তুমি সর্বজয়া তুমিই বাংলাদেশ।