পরাজয়ের গ্লানি মুছতে কুলাউড়ায় মরিয়া আওয়ামী লীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ততই তুঙ্গে উঠছে।
ভোটারদের কাছে টানতে এক ওয়ার্ড থেকে আরেক ওয়ার্ড চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। পুরো পৌরসভাজুড়ে নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছে প্রার্থীরা।
এই পৌরসভায় বিগত দুই নির্বাচনে ধারাবাহিক পরাজয়ের গ্লানি মুছতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। অপরদিকে বিএনপি চাইছে নিজেদের দুর্গে বিগত দিনের জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখতে।
জানা যায়, কুলাউড়ার প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মালিক বিজয়ী হন। কিন্তু দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ছনোয়ার আলী ছনু। বিগত দুই পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা ছনোয়ার আলী ছনু ও শফিউল আলম শফি বিপুল ভোটে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে বেকায়দায় পড়েন। এবার তারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।
এবার কুলাউড়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাদিপুর ইউনিয়নের ৩ বারের জনপ্রিয় নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির প্রাথীর পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত শফি আলম ইউনুছ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা আশা করছেন।
এদিকে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির (একাংশের) সভাপতি দলীয় মনোনীত প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ বিগত দুই নির্বাচনে জয়ী হন। এবার তার টার্গেট হ্যাট্রিক করে দলকে উপহার দেয়া।
তবে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পূর্বে পৌর নাগরিকদের উন্নয়নের যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা অনেকটাই পূরণ করতে পারেননি। তাই এবারের নির্বাচনে বেকায়দায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যেকোন সময় দল ত্যাগ করতে পারেন কারণ পূর্বে জাতীয় পার্টির কুলাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বেকায়দায় ফেলে বিএনপিতে যোগ দিয়ে অলোচনায় আসেন।
স্থানীয় অধিকাংশ নাগরিক জানান, যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন ।