শেরপুরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমির ন্যায্য মূল্য পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০১৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে শ্রীহট্ট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমির মূল্য নেহাৎই কম নির্ধারণ ও সরেজমিনের সাথে মিল না রেখে জমির শ্রেণী নিরূপণ করায় এলাকার মানুষ বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন।
ভূমির বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী সরেজমিন তদন্ত করে জমির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করার জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে কোন সুফল পায়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দাবি পূরণে কালক্ষেপন করা হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, প্রায় দুই/তিন বছর পূর্বে শেরপুর শ্রীহট্ট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর ও ব্রাহ্মণগ্রাম মৌজার ৩৫২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে শেরপুর মৌজার ২৯২ একর ভূমি রয়েছে। নিকটবর্তী ব্রাহ্মণগ্রাম মৌজার ভূমির প্রতি শতাংশের বর্তমান বাজার মূল্য ৮ লাখ থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
পক্ষান্তরে শেরপুর মৌজায় প্রতি শতক ভূমির মূল্য ২৩ হাজার থেকে ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য অধিগ্রহণ মূল্য থেকে কয়েক গুণ বেশী। তাছাড়া অধিগ্রহণ কর্তৃপক্ষ বর্তমান রেকর্ড এবং অবস্থান অনুযায়ী জমি/ভূমির শ্রেণী নিরূপন না করায় কৃষিজীবি ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা প্রকৃত মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভূমির চলমান অবস্থা সরেজমিন তদন্ত করে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
একই সাথে তারা দাবি করেন, পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণগ্রাম মৌজার সাথে সমানুপাতিক হারে জমির মূল্য না দিলে এলাকাবাসী অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ মূল্য গ্রহণ না করে দাবি আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী ডাক দিবেন। বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমিতে ফসলাদি চাষ করে সিলেট বিভাগের তিন জেলার ১০/১২টি গ্রামের মানুষ জীবন ধারণ করেন। তাছাড়া অনেকে বসত বাড়ি হারিয়ে পথে বসার যোগাড় হবে। এলাকার মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন ভূ-সম্পত্তির উপযুক্ত মূল্য সরকারি কর্তৃপক্ষ না দিলে জমির দখল ছাড়বেন না বলেও তারা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. আব্দুর রউফ, সাংবাদিক নূরুল ইসলাম, কাউছার আহমদ, রজব আলী, জিতু মিয়া, নজরুল ইসলাম, হারুন মিয়া, আনোয়ার মিয়া, আকলিছ মিয়া প্রমুখ।