কমলগঞ্জে নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে
দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও হামলায় শিশুসহ ৫ নারী আহত, থানায় অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০১৫, ২:১৫ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য নোয়াগাও গ্রামে নতুনভাবে নির্মিত বিদ্যুৎ লাইনের তার টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে হামলায় শিশুসহ পাঁচ নারী আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আজমল আলী বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার রাত সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতায়নের নতুন লাইন স্থাপনের পর শ্রীসূর্য নোয়াগাঁওয়ে তার টানানোর কাজ চলছিল। নক্সার বাইরে অপরিকল্পিতভাবে খুঁটি স্থাপন করায় আজমল আলী একই গ্রামের মুজিবুর রহমান, রুমান মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য আশিক মিয়ার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দু’পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রবিবার সন্ধ্যায় প্রথম দফা আজমল আলীর মেয়ে শাহিনা আক্তার, মুমিনা বেগম, রুবিনা বেগমদের সাথে মুজিবুর রহমান, রুমান মিয়া গংদের সাথে তর্কবিতর্ক ও সংঘর্র্ষ বাঁধে। আজমল আলী জানান, প্রতিপক্ষের লোকেরা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহ ও অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের প্রতিবাদ ও বিষয়টি সাংবাদিকসহ স্থানীয়দেরকে অবহিত করায় রাতে মুজিবুর রহমান ও রুমান মিয়াসহ চার পাঁচ সন্ত্রাসী তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্ত্রী মুমিনা বেগম (৪০), মা ছমিরা খাতুন (৫৫), মেয়ে শাহিনা আক্তার (২৫), রুবিনা বেগম (১২) ও প্রতিপক্ষের সিতারা বেগম (৪০) কে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মুজিবুর রহমান ও রুমান মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ বিষয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, তার উপর আরোপিত অভিযোগ সঠিক নয়। আসলে আজমল আলীর পরিবার অন্যায়ভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনে আপত্তি জানানো নিয়ে একই গ্রামের কনাই মিয়ার পরিবার সদস্যদের তর্কবিতর্ক ও সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে কনাই মিয়ার পরিবারেরও তিন সদস্য আহত হয়ে এখন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাবেক ইউপি সদস্য আশিক আলী বলেন, আসলে গ্রামে সরকারী বরাদ্দে যাতে সবাই সহজে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কাজ করেছেন। আসলে দুই পক্ষের পূর্ব বিরোধে নতুন করে সংঘর্র্ষ গড়িয়েছে। তিনি এ ঘটনায় কোনভাবে জড়িত নন। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, সরেজমিন তদন্ত শেষে বোঝা যাবে আসলে শ্রীসূর্য নোয়া গাঁও কী ঘটেছিল।