কমলগঞ্জে ‘আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায়
চা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরিসহ দলিত জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০১৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দলিত জনগোষ্ঠীর জীবনচিত্র “আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার” শীর্ষক আলোচনা সভায় চা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরিসহ দলিত জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)-এর আয়োজনে ও নাগরিক উদ্যোগের সহায়তায় শনিবার বেলা ১২টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হলরুমে এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
বিডিইআরম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুনীল মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ, ফজলুল হক বাদশাহ, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ, ইউপি সদস্য সীতারাম বীন, মেরী রাল্ফ, গৌরি রানী কৈরী প্রমুখ।
সভায় চা শ্রমিক প্রতিনিধিরা বলেন, মাত্র ৬৯ টাকা মজুরি চা বাগানের শ্রমিকরা দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করছে। দীর্ঘদিন ধরে মজুরির কোন সুরাহা হয়নি। কাজের সময় বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দেখা দেয়। ফলে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমিকরা। ২০১৩ সনের সংশোধিত শ্রম আইনে চা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি দেয়ার কথা বলা হলেও চা বাগানে এটি কার্যকর হয়নি। সভায় দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য আইন কমিশন সুপারিশকৃত ‘বৈষম্য বিলোপ আইন-২০১৪’ প্রণয়ন, দেশের সকল জেলার দলিত জনগোষ্ঠীকে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি’র আওতায় আনা, সকল মহানগরী ও পৌরসভা সমুহে দলিত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যা সমাধানে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ, কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশেষ বিবেচনায় এনে তাদের সুরক্ষার সকল উপকরন সরবরাহ, বিকল্প পেশায় উৎসাহিত করতে কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি, এই জনগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ উপবৃত্তি প্রদান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কোটা প্রবর্তন, সরকারি চাকুরিতে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কৌটা ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ৮ দফা দাবিনামা তুলে ধরা হয়।