সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রোজা হয় যেসব দেশে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০১৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বিশ্বের কোনো কোনো দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতারের দু’ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয়৷ অর্থাৎ তাঁদের জন্য রোজা ২২ ঘণ্টার৷ তেমন সব দেশের নাম জানতে অনেকরেই কৌতূহল কম নয়। জানা যাক বিশ্বের কোন দেশগুলোতে মুসলমানদের সবচেয়ে লম্বা সময়ের রোজা রাখতে হয়৷
আইসল্যান্ড – ২২ ঘণ্টা
আইসল্যান্ডে মাত্র ৭৭০ জন মুসলমানের বাস৷ তবে এই ৭৭০ জনের মধ্যে যাঁরা পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করেন, তাঁরা এক দিক থেকে বিশ্বের আর সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে ছাড়িয়ে যান৷ আইসল্যান্ডে এবার সেহরি খেতে হচ্ছে রাত দু’টোয় আর ইফতার পরের দিন রাত ১২ টায়৷ কত ঘণ্টা হলো? ২২ ঘণ্টা!
সুইডেন – ২০ ঘণ্টা
খুব গরমের মধ্যে রোজা হলে সুইডেনের মুসলমানদেরও কষ্টের সীমা থাকে না৷ দেশটির ৫ লাখ মুসলমানের মধ্যে যাঁরা রোজা রাখেন, তাঁদের ইফতারের মাত্র চার ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয়৷ উল্টো দিক থেকে ভাবলে কষ্টটা বুঝতে পারবেন৷ সুইডেনের মুসলমানদের অনেক দিন সেহরির ২০ ঘণ্টা পর ইফতার খেতে হয়৷
আলাস্কা – ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ৩ হাজার মুসলমানের মধ্যে কেউ কেউ আজকাল সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে সেহরি আর ইফতার করতে শুরু করেছেন৷ গ্রীষ্মকালে ভীষণ গরম থাকে সেখানে৷ তার ওপর কোনো কোনোদিন সূর্যোদয়ের ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সূর্য ডোবে৷ এত লম্বা সময় ধরে রোজা রাখা তাই অনেকের পক্ষেই দুরূহ৷
জার্মানি – ১৯ ঘণ্টা
রমজান মাসের সময় দিন খুব বড় হলে জার্মানির মুসলমানদেরও রোজা রাখতে ভীষণ কষ্ট হয়৷ এ বছর জার্মানিতে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সেহরি খেতে হচ্ছে রাত সাড়ে তিনটায় আর ইফতার রাত দশটায়৷
ইংল্যান্ড – ১৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট
ইংল্যান্ডে সেহরি থেকে ইফতারের সময়ের পার্থক্য প্রায় ২০ ঘণ্টা৷ ব্রিটেনে বর্তমানে প্রায় ২৭ লক্ষ মুসলমানের বসবাস৷
কানাডা – ১৭ দশমিক ৭ ঘণ্টা
এখন প্রায় ১০ লক্ষ মুসলমান আছে কানাডায়৷ সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস টরন্টোতে৷ এবার কোনো কোনো দিন সেহরির প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর ইফতারি খেতে হবে তাঁদের৷
তুরস্ক – সাড়ে ১৭ ঘণ্টা
মুসলিমপ্রধান দেশ তুরস্কেও গরমকালে রোজা রাখতে হয় খুব কষ্ট করে৷ এবার সেহরির প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর ইফতার করতে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের৷