বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুন ২০১৫, ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক ::
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি প্রবৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় কমায় রিজার্ভ এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া চলতি অর্থবছর এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ২৫ জুন এর পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের সাত মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানান, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে, পোশাক খাতে কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। ফলে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে রফতানিকারকদের প্রণোদনার ফলে রফতানি বাড়ছে। ফলে রিজার্ভও বেড়ে চলেছে। গত পাঁচ বছরে রিজার্ভ যে হারে বেড়েছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে।
তথ্যমতে, ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর তা ১২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ১৩ বিলিয়নের নতুন মাইলফলকে পৌঁছে। ৫ মার্চ তা ১৪ বিলিয়ন, ৭ মে ১৫ বিলিয়ন, ১৩ আগস্ট ১৬ বিলিয়ন, ২২ অক্টোবর ১৭ বিলিয়ন ও ১৯ ডিসেম্বর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায় রিজার্ভ। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ২০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। এর পর একই বছরের ১৬ এপ্রিল তা ২১ বিলিয়ন এবং ৭ আগস্ট ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ও ১৯ এপ্রিল ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।