প্রোটিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হাড় ক্ষয়ের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০১৫, ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ
হেলথ ডেস্ক ::
বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হাড় ক্ষয়ের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ আবিষ্কারের ফলে এখন থেকে সম্ভব হবে ক্ষয়প্রাপ্ত হাড়ের পুনর্গঠন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগান্তকারী এ নতুন আবিষ্কারের কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত দ্য স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (টিএসআরআই) গবেষকদের। পিপিএআরওয়াই নামে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন এবং হাড়ের মজ্জাস্থিত স্টেমসেলের (মেসেনকাইমাল স্টেমসেল) ওপর এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তারা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে মূল চর্বি নিয়ন্ত্রক (মাস্টার রেগুলেটর অব ফ্যাট) হিসেবে পরিচিত এ পিপিএআরওয়াই প্রোটিন।
চর্বি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী টিস্যু, হাড় ও তরুণাস্থিসহ শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষ গঠনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে মেসেনকাইমাল স্টেমসেল বা মজ্জাস্থিত স্টেমসেল। ভবিষ্যতে বিভিন্ন থেরাপির প্রয়োগের মাধ্যমে এ স্টেমসেলগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের সামনে।
এর আগে জিনগতভাবে পরিবর্তিত এক জাতের ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালাতে গিয়ে গবেষকরা লক্ষ করেন, আংশিকভাবে পিপিএআরওয়াই কমিয়ে আনলে তাতে বেড়ে যায় হাড় গঠনের হার।
স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর প্রয়োগের জন্য গবেষকরা নতুন এক ধরনের উপাদান তৈরি করেছেন, যা পিপিএআরওয়াইয়ের জৈবিক কর্মকাণ্ড সীমিত করে দিতে সক্ষম। উপাদানটিকে তারা অভিহিত করছেন এসআর২৫৯৫ নামে।
মেসেনকাইমাল সেলের ওপর এসআর২৫৯৫ প্রয়োগের পর বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেন, এতে অস্টিওব্লাস্ট কোষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। অস্টিওব্লাস্ট সেল হলো তরুণাস্থি থেকে হাড়ের গঠন তৈরিতে মূল প্রভাবক কোষ।
টিএসআরআইয়ের পরিচালক প্যাট্রিক গ্রিফিন জানান, ‘এরই মধ্যে আমরা সফলভাবে ইঁদুরের ওপর এসআর২৫৯৫ প্রয়োগে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ হলো অ্যানিমেল মডেলে হাড় ক্ষয়, জরা, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় এর প্রয়োগ।’
আশা করা যাচ্ছে, হাড় ক্ষয়ের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়ন ছাড়াও এ গবেষণা থেকে আরো অনেক কিছু বের হয়ে আসবে।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনসে।