মাগুরছড়া ট্রাজেডির ১৮তম বার্ষিকীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০১৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জাতীয় সম্পদ রক্ষা ও মাগুরছড়া গ্যাস বিপর্যয়ে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রকাশসহ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে ১৪ জুন রোববার দুপুর ১২টায় কমলগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সম্মুখে কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন কমলগঞ্জ আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাগুরছড়া গ্যাস বিস্ফোরণে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কমলগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাতে ১টা ৪৫ মিনিটে মাগুরছড়া গ্যাসকূপে বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠেছিল গোটা কমলগঞ্জ। আগুনের লেলিহান শিখায় লাল হয়ে উঠেছিল মৌলভীবাজারের আকাশ। ভীত-সন্ত্রস্থ লোকজন ঘরের মালামাল রেখে প্রাণভয়ে ছুটে ছিল দিগ্বিদিক। প্রায় ৫০০ ফুট উচ্চতায় লাফিয়ে উঠা আগুনের লেলিহান শিখায় লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা।
আগুনের শিখায় গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, জীববৈচিত্র্য, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, ফুলবাড়ী চা বাগান, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট- চট্টগ্রাম রেলপথ এবং কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পরিবেশ সংরক্ষণবাদীদের তথ্য মতে, ৬৩ প্রজাতির পশু-পাখির বিনাশ সাধন হয়। সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ ১৬৩ দিন বন্ধ থাকে। সে সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। মার্কিন অক্সিডেন্টাল ক্ষয়ক্ষতির কিছু অংশ পরিশোধ করলেও বন বিভাগ কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি।