পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হচ্ছে সিলেটের তামাবিল ও শেওলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০১৫, ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সিলেটের তামাবিল ও শেওলা শুল্ক স্টেশন পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে উন্নীত হচ্ছে। তামাবিলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। শেওলা শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করেছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে শুল্ক স্টেশনটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠান হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ দুটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাবে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সম্প্রতি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা শুল্ক স্টেশন পরিদর্শনকালে জানিয়েছেন, ছয় মাসের মধ্যে শ্যাওলাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এক বছরের মধ্যে উন্নীত করা হবে স্থলবন্দরে। একই দিন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল শুল্ক স্টেশনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
সিলেটের সহকারী কমিশনার ওমর মুবিন জানান, তামাবিলে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া শেওলাকে স্থলবন্দরে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়াটি দ্রুত এগিয়ে চলছে।
তিনি আরও জানান, পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হলে তামাবিল দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে। শেওলা দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পণ্য রফতানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেই দুটি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে। আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে শেওলা স্থলবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হবে শ্যাওলা স্থলবন্দর। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান ১৫ একরের বাইরে নতুন করে ৯ একর জমি অধিগ্রহণসহ গুদাম, ইয়ার্ড, নিরাপত্তা প্রাচীর, ওয়েটব্রিজ স্কেল, ট্রাক পার্কিং ও ডমেস্টিক ব্যারাক নির্মাণ করা হবে। গত সপ্তাহে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এ শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করে গেছেন।
তামাবিল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে এ স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে উন্নীতকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর পরই উন্নয়নকাজ শুরু হয়েছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
তামাবিল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতীয় ল্যান্ড কাস্টম (এলসি) স্টেশনের নাম ডাউকি। ডাউকি এলসি স্টেশনকে সম্প্রতি ভারত সরকার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এর মানোন্নয়ন কাজ চলছে।
অন্যদিকে ২০০১ সালে সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো স্থাপনা বা অবকাঠামো নেই। তবে কাস্টম ও ইমিগ্রেশনের কার্যালয় আছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রধানত কয়লা, চুনাপাথর ও ফল আমদানি এবং প্রসাধন সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও ইট রফতানি করা হয়। এছাড়া প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার যাত্রী তামাবিল-ডাউকি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। দেশের ব্যস্ততম এ শুল্ক স্টেশনে ওয়েটব্রিজ না থাকায় সরকার প্রচুর পরিমাণ শুল্ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তামাবিল শুল্ক স্টেশনের মোস্তাক আহমেদ নোমানী জানান, এ স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে ভারতের মেঘালয়সহ ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে।