খরায় মাধবপুরে চা বাগানে উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ জুন ২০১৫, ৭:১১ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ৫টি চা বাগানে প্রচণ্ড রোদ ও রেড স্পাইডার হেলোফিলিটস রোগের কবলে পড়েছে। গত ১০ দিনের প্রচণ্ড খরায় শত শত একর জুড়ে ভাইরাসজনিত রোগে চা গাছ আক্রান্ত হয়ে উৎপাদন মারাত্মক ধস নেমেছে। ফলে বাগানগুলোতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
চাবাগান সূত্রে জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিলের দিকে বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসের শেষের দিকে ও জুন মাসের শুরু থেকে প্রচণ্ড খরায় ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগে চা গাছ আক্রান্ত হয়ে উৎপাদনে মারাত্মক ধস নেমেছে। তীব্র রোদে চা গাছের কচি পাতা গজাচ্ছে না। যেটুকু কুঁড়ি পাতা গজাচ্ছে, লাল মাকড়সা তা চুষে খেয়ে ফেলছে। এছাড়া তীব্র খরায় বালিযুক্ত দোঁআশ মাটি রোদে সহজে মাটি গরম হয়ে চা গাছ লালছে বর্ণ ধারণ করেছে। লাল মাকড়সা ও হেলোফিলিটস রোগ প্রতিরোধে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রথমে সুরমা চা বাগানের ছয়েদাবাদ সেকশনে কিছু এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এখন তা সারা বাগানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত বছর এ সময় যে পরিমাণ কচি পাতা উৎপাদন হয়েছিল, এ বছর তা অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে।
নোয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদী জানান, গত কয়েক দিনের তীব্র রোদে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা চা গাছ ও কচি পাতার জন্য সহনশীল নয়। এ কারণে লস্করপুর ভ্যালির ২৩টি চা বাগান খরায় ক্ষতিস্ত হয়েছে।
বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানের তপন চক্রবর্তী জানান, গত কয়েক বছর ধরে বিদেশে চা রপ্তানি হচ্ছে না। এছাড়া স্বল্প শুল্কে চা আমদানির ফলে দেশে উৎপাদিত চা অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে। এ বছর অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় চায়ের দেশজ উৎপাদন সংরক্ষণের স্বার্থে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়। অর্থমন্ত্রীর এ উদ্যোগে দেশিয় চা শিল্পের মধ্যে নতুন উৎসাহের সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় খরার কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে চা শিল্প লোকসানের মধ্যে পড়বে।