মৌলভীবাজারে তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত জন-জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ জুন ২০১৫, ৭:১২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত মৌলভীবাজারসহ আশপাশ এলাকার জনজীবন। অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং শিশু-বৃদ্ধরা গরমে ও তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড এই গরমের সাথে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণাও পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা রোগ-ব্যাধিও। ব্যহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জন-জীবন। গরম পড়ার পর থেকে হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের অবজারভেশন অফিসার হারুন জানান, গতকাল শুক্রবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা কমার কোন সম্ভাবনা নেই । বরং তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।
হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে পনি শূন্যতা, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি পানি পান, স্যালাইন ও লেবুর শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তীব্র গরমের কারণে শিশু এবং বয়োঃবৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-জ্বরসহ নানান রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জিয়াউল হক জানান, ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি ফুটানোর সাথে ফিল্টারিং করে খেতে পারলে আরও নিরাপদ। তিনি শিশুদের বাইরের খাবার থেকে বিরত রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ওরস্যালাইনের পাশপাশি পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে বলেও জানান।
প্রচণ্ড গরমে উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড তাপদাহে শহরের ব্যস্ততম এলাকায় ও ফুটপাতে পানীয় দোকানগুলোতে বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনভর প্রচণ্ড রোদ্রতাপ ও অসহনীয় গরমে প্রতিটি দোকানে আইসক্রীমসহ ঠান্ডা পানীয় বিক্রির ধুম পড়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের প্রধান সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, গ্রীষ্মকালের শেষ পর্যায়, তাই গরম একটু বেশি। আরো ৩/৪ দিন এই গরম থাকবে। দেশে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তা সিলেট অঞ্চলে আসতে কিছুদিন লাগবে। এর পর গরমের তীব্রতা কমে যাবে বলে তিনি জানান।