৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ২ জুন ২০১৫, ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এবার কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার এ নীতিমালা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে রাজধানীকে সব কলেজে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ঢাকার বাইরে অন্য মেট্টোপলিটন সিটি এলাকার কলেজে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ জুন থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। ক্লাস শুরু হবে পহেলা জুলাই। এবারও একাদশ শ্রেণিতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা থাকছে না। মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।
গত ৩০ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, মূলত তাদের ভর্তিতে এই নীতিমালা। এবার এসএসসি ও সমমানে ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৪ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো কলেজ চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। প্রত্যন্ত/অনগ্রসর অঞ্চলের সহশিক্ষার কলেজে ছাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। আর কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লেোমা কোর্সে ভর্তিতে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং জিপিএর ভিত্তিতে বাকি ৫০ নম্বরের আলোকে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আগামী ৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন করতে হবে। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, তাদের জন্য ২১ জুন পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ থাকবে। ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা ২৫ জুন প্রকাশ করা হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ব্যবহারিক ক্লাস শুরু হবে ১ আগস্ট। টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে ১৫০ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনে খরচ পড়বে ১২০ টাকা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সাতটি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।