এসএসসিতে কমলগঞ্জ সদরের দুইটি বিদ্যালয়ে ফলাফল বিপর্যয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১ জুন ২০১৫, ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ
শমশেরনগর সংবাদদাতা ::
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৬ জন। এ উপজেলায় ৪টি কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮৫৮ জন। পাসের হার শতকরা ৭৭ ভাগ। কমলগঞ্জ উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে ২টি বিদ্যালয়। এত চমৎকার ফলাফলের মধ্যেও সদরস্থ কমলগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চরম বিপর্যয়ে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা যায়, কমলগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী ৫টি বিদ্যালয়ের কারো ফলাফলই আশানুরূপ হয়নি। ৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হয়েছে কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুলের ১১২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে মাত্র ৩৬ জন পরীক্ষার্থী। একটিও জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৩২%। অপর দিকে কমলগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৩৩ জন। পাস করেছে মাত্র ১১৪জন। জিপিএ-৫ চারজন । পাশের হার ৪৯%। কমলগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রের এই দুটি বিদ্যালয়ের এমন ফলাফলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবক মহল বিদ্যালয় দুইটির লেখাপড়ার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা ক্ষোভের সাথে জানান, স্কুলে ভাল শিক্ষক থাকলেও তারা ক্লাসের পাঠদানে তেমন মনোযোগী নন। তারা বেইজ করে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্ত থাকেন। যদি মনোযোগ সহকারে পাঠদান করলে এমন রেজাল্ট হতো না।
কয়েকজন অভিভাবক হতাশা হয়ে বলেন, তারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন ।
তবে কমলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষকরাও খারাপ ফলাফলে হতাশ হয়েছে। তারা এমন ফলাফল ভাবতে পারেনি।
কমলগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান এবং কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমলগঞ্জ মডেল স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, এমন ফলফলা কল্পনা করতে পারেননি। তবে তিনি মানবিক শাখায় বেশি ফেল করার কারণ হিসেবে গণিতে সৃজনশীলতার বিষয়টি উল্লেখ্য করেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক রনেন্দ্র কুমার দেবের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন এমন ফলাফল হতাশ। তিনি প্রাচীনতম এই স্কুল দুটির শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, মান ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।