কমলগঞ্জে বাজেট পূর্ব সংবাদ সম্মেলন
চা জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথক বরাদ্দের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০১৫, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
আসন্ন ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে চা জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন “জগরণ যুব ফোরাম”-এর উদ্যোগে আজ ২৯ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাসের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য বাবুল রবিদাস। বক্তব্যে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক আয়ের অন্যতম হচ্ছে চা শিল্প। অথচ এ শিল্পের চালিকা শক্তি দরিদ্র অসহায় চা শ্রমিকরা দৈনিক মাত্র ৬৯ টাকার মজুরীতে কাজ করছে। এই স্বল্প আয় দিয়ে একটি পরিবার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। গত বছরও বাজেটেও চা জনগোষ্ঠীর জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও কিছুই বরাদ্দ হয়নি। এ বছরের বাজেটে চা জনগোষ্ঠীর জন্য তিন হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ থাকার কথা বলা হলেও আসলে তা থাকবে কিনা তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই চা শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন জাগরণ যুব ফোরাম আগামী বাজেটে চা জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি জানাচ্ছে। দাবিগুলোর মধ্যে- চা জনগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য আলাদা সাংস্কৃতিক একাডেমী প্রতিষ্ঠা, চা বাগানে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা, চা বাগানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তির প্রচলন করা, চা বাগানের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার জন্য পর্যাপ্ত আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, চা বাগান এলাকায় পর্যাপ্ত সরকারী হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে চা জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান, চা জনগোষ্ঠীর মজুরী, ভূমিসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় বা কমিশন গঠন, শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প প্রনয়ন সহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।
মোহন রবিদাস আরও বলেন, জাতীয় বাজেটে চা জনগোষ্ঠীর জন্য এ দাবিগুলো পুরণ হলে চা শ্রমিক সন্তানরা নিজেরাই নিজেদের উন্নয়ন করে নিতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজা মেমোরিয়াল কলেজের প্রভাষক শাহজাহান মানিক, জাগরণ যুব ফোরাম সদস্য রাজেশ অলমিক, রাজকুমার রবিদাস, রঞ্জিত রবিদাস ও লক্ষ্মী নারায়ণ রাজভর প্রমুখ।