আইনজীবীদের ত্রুটির কারণে শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মামলায় বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পান না– প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০১৫, ২:২৩ পূর্বাহ্ণ
পূর্দিক ডেস্ক ::
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শনিবার এক সেমিনারে বলেন, “আমাদের খুবই কষ্ট হয়, একটি মামলা বেশ গুরুত্বপূর্ণ মামলা এবং হয়তো এই বিচারপ্রার্থীর শেষ সম্বল। সে মামলায় হেরে যাচ্ছে শুধু আইনজীবীর ক্রটির জন্য। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মামলায় বিচারপ্রার্থীরা হারে আইনজীবীর ক্রটির জন্য।”
মামলায় বাদী/বিবাদীর লিখিত বক্তব্য বিচার কাজের সময় মূল বিবেচনায় থাকে জানিয়ে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে আইনজীবীদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।
আইনজীবীদের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনের শাসন বলতে আমরা কী বুঝি? আমি একজন আইনজীবী। আমি আইনজীবী হিসেবে কতদূর আমার কর্তব্য পালন করতে পেরেছি? প্রথমেই চিন্তা করতে হবে, একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।”
দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ওই সেমিনারের আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “বেঞ্চ কী ভূমিকা নেবে সেটা নির্ভর করে আইনজীবীদের উপর। আমি বলব কারিগর।
“গুটিকয়েক ব্যতিক্রম ছাড়া পৃথিবীতে বিখ্যাত যত বিচারক প্রত্যেকেই আইনজীবী ছিলেন। একজন আইনজীবী হিসেবে আমাকে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে আমি কতদূর আমার দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি। আমরা প্রতিদিনই কয়েকশ মামলা তালিকায় পাই। অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এক মিনিট থেকে পাঁচ মিনিটে ন্যূনতম সময়ে সেই পয়েন্টে চলে আসি।”
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনারা একটা মামলা মক্কেলের কাছ থেকে ব্রিফ নেন, কনসালটেশন করেন। এরপরে কোর্টে আসার আগে আপনারা পড়াশুনা করে আসেন। একজন বিচারক হাত দেওয়ার সাথে সাথে পয়েন্ট কি প্রশ্ন করলে আপনারা উত্তর দিতে পারেন না। এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কী রকম? আইনজীবী হিসেবে আপনারা ওয়াকিবহাল না; আপনার ক্ষমতা যে মক্কেলের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন; অথচ তার পক্ষে মামলা লিড করার জন্য আপনি সচেতন না।
“আজকে আপনারা যদি সচেতন থাকেন, সচেতন হন, তাহলে অনেকটাই, এই লক্ষ লক্ষ হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী, কোর্টের যারা আশ্রয়ী প্রার্থী তারা মুক্তি পাবে।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “আমাদের খুব কষ্ট হয়, সেটা হল একজন বিচারক হয়ত জামিন দিল না, হয়ত আমাদের বিভিন্ন আইন হয়েছে, যেমন একটা মামলাতে একটা শিশু অপরাধ করেছে, তার জামিনে সেশন জাজ বলল আমার ক্ষমতা নাই।
“বিচারক ভুল করতে পারেন। তার সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে। উপর কোর্টে আসতে পারেন আপনারা। হাই কোর্টের আইনজীবী হোক আপনাদের মান-সম্মান, আপনারা একজন বিজ্ঞ আইনজীবী আমরা বলি, বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে আপনারা সুনাম এই কোর্টে ওকালতি করে। …আপনারা যদি সামান্য কারণে যে কোর্টে গিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যাচ্ছেন সেই কোর্টে গিয়ে অবমাননা করছেন। তাহলে আইনের শাসন কোথায় প্রতিষ্ঠা হবে?”
আইনজীবীর অনুপস্থিতি
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “এখন সারাদেশের নিন্ম আদালতে ২৮ লাখ ত্রিশ হাজার মামলা রয়েছে। আমাদের একেবারে পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। …এত লক্ষ লক্ষ মামলা বিচারাধীন থাকলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। আমি বিচারকদের ডাকলাম, আপনারা কোর্টে ওঠেন না, বিচার করেন না এবং ডায়েরিতে কেস রাখেন না। ওনারা যখন একে একে বলা আরম্ভ করলেন, বললেন যে ‘আমরা যদি সময়ের দরখাস্ত না মঞ্জুর করি, ওনারা খুব রূঢ় ব্যবহার করেন’।
“লাঞ্চের পরে উনারা কোর্টে থাকেন না, থাকতে চান না প্রত্যেকটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিচারপ্রার্থীরা কোর্টে চলে আসে, সে জানে না আপনারা আপনাদের মুহুরীদের দিয়ে একটা দরখাস্ত ফাইল করে দেন মুলতুবির জন্য। এটা বছরের পর বছর চলে। আমি বললাম, তারা না আসলে আপনারা মামলাগুলো খারিজ করে দেবেন। এখন আইন সংশোধন করা হয়েছে, বলল যে এক হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে তারা পরের দিন পিটিশন রিস্টোর হয়ে যায়, কাজ বেড়ে যায়। আর কিছু বিচারক যা বললেন সেটা হল, এটা করলে তারা আবার বার একত্রিত হয়ে কোর্ট বয়কট করে। কড়া বিচারক হলে তারা সবাই মিলে বিচারককে উড্রো করার জন্য বলে দেয়। আইনের শাসন কী রকম প্রতিষ্ঠা হবে?”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপিল বিভাগে আমি ১১ টা পর্যন্ত কিছু আইনজীবী পাই। বিরতির পর আমার প্রত্যেক দিন, এখন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মামলা ডিসমিসড ফর ডিফল্ট করতে হচ্ছে, আপনারা আসেন না। আগে বলা হতো, আপিল বিভাগে মামলা লিস্টে আনার জন্য তদ্বির করা হতো। অনেকে বলেছে, টাকা পয়সা খরচ করেও আনা যায়নি।..এখন শোনা যাচ্ছে তদ্বির করে মামলা লিস্টে না আনার জন্য। আগে লিস্টে দেওয়ার জন্য তারা টাকা খরচ করতেন, এখন লিস্টে না আসার জন্য তারা তদ্বির করে।..এখন এটি যদি চলে তাহলে আমরা বিচারকরা আইনের শাসন কি রকম প্রতিষ্ঠা করব?”
বিচারাধীন মামলা
প্রধান বিচারপতি বলেন, “৩০ লাখ মামলা উচ্চ আদালতসহ এগুলো নিয়ে বিচারকেরা এই বদনামের ভাগ থেকে মুক্তি চায়। আপনারা যে মামলার কারিগর হিসেবে যেভাবে গড়ে তুলবেন প্রস্তুত করেন …দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারি। কিন্তু আপনার রিট বা বেল পিটিশনে যদি বেশি ফান্ডামেন্টেশনস না থাকে আপনরা মুখে যত সুন্দর কথা বলেন, আমাদের কাছ থেকে কোনো রিলিফ পাবেন না। সেটা হলে আমি একেবারেই স্পষ্ট করে বলছি, কোনো দিনই এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না।”
নবীনদের প্রস্তুতির প্রতি
সেমিনারের মূল প্রবন্ধের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইনজীবদের ট্রেনিং করার দরকার বলা হয়েছে। আমি বলব আদৌ এটার দরকার আছে কি না ? আমরা আইনজীবী হিসেবে এসেছি। আমরা কোনদিনও প্রথম পাঁচ বছর বেল পিটিশনের জন্য কোর্টে দাঁড়াতে সাহস করিনি। বেল বন্ড আর আইনজীবীদের রাত্র বারটা পর্যন্ত ডিকটেশন নিতে নিতে হাতে কড়া পড়ে গিয়েছিল।
“আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আজকে একজন নবীন আইনজীবী কোনো সিনিয়রের চেম্বারে এটেন্ড করেন কি না? আমার উত্তর হল না। এই সিস্টেমটাই উঠে গিয়েছে।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “নবীন আইনজীবীরা ব্রিফ নিয়ে আসেন, পরে সিনিয়র আইনজীবীকে নিয়োগ দেন। এটাই যদি হয়, তাহলে এখানে আইনজীবীরা গড়ে উঠবেন কি করে। একজন আইনজীবী সনদ পেতে হলে সিনিয়র আইনজীবীর সাটিফেকেট লাগে। …সভ্য দেশে গণতান্ত্রিক দেশে যান সেখানে যান। দেখবেন কোনো নবীন আইনজীবী কোনো সিনিয়র আইনজীবীর কাছে গেলেই তাকে এটেন্ড করা হয় নাই।.. ইংল্যান্ডে সনদের ক্ষেত্রে দুই ধরনের সনদ দেওয়া হয়। একটি হল, নন প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার আরেকটি প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার।”
বার কাউন্সিল ও আইন শিক্ষার পাঠক্রম
প্রধান বিচারপতি এস কে বলেন, “পৃথিবীর সব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে আইন বিভাগে কি শিক্ষার কারিকুলাম হবে, সেটা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নির্ধারন করেন না। এটা নির্ধারন করতে হবে বার কাউন্সিলকে। বার কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে আপনারা দায়িত্ব নেবেন। এখন প্রশ্ন হল সরকার মানবে না বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর্চরা মানবে না। আমি বলব তারা মানতে বাধ্য। আপনার বার কাউন্সিল ঠিক মত চালান। আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা আপনারা নেন, তারা মানতে বাধ্য হবে।
“এবার বার কাউন্সিলে প্রায় ২২ হাজার ছেলে মেয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা দিতে হল।….এত বড় সিনিয়র আইনজীবী কেন আপনারা একটা ভালো পরীক্ষা নিতে পারেন না। ২২ হাজার ছেলে মেয়ে, প্রশ্ন করতে হবে, কিছু বের করে দিতে হবে। এমন প্রশ্ন করা হলে মাত্র পাঁচ হাজার থাকল।..যে দায়িত্ব নিতে হবে বার কাউন্সিলের সে দায়িত্ব যদি বার কাউন্সিল নিতে না পারে, এখন তাহলে আইনের শাসন কোথায় হবে?”
আইনের শাসনের অর্থ
প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইনের শাসন মানে আমি যে দায়িত্বে আছি, আগে আমাকে আমার কতর্ব্যের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করব। এরপর আমি আপনাকে বলব, আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করবেন।
“আমি যদি নিজে বিশ্বাস ও পালন না করি, আমি আরেকজনকে কি রকম বলব আপনি সেটা পালন করবেন। তাই আমি বলছি, আপনারা আসেন প্রত্যেকে প্রত্যেক আইনজীবী হিসেবে আপনারা নিজেরা আইনের শাসন পালন করেন, এরপর বিচারকদেরকে বলেন, বিচারকরা অবশ্যই পালন করবে।”
আইনের শাসন সবাই চায়
প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচার বিভাগের প্রতি এটি আজকের না, সেই তখনকার আমলের একজন অ্যাটর্নি জেনারেল যে রাজার উপদেশ দিতে অস্বীকার করায় তার জীবন দিতে হয়েছিল। বিচার বিভাগ সব সময় চাপের মধ্যে থাকে। এর প্রতি প্রত্যেকেই চাই আইনের শাসন, সরকারও চায়, জনগণও চায়, আইনজীবীরা চায়। ..কিন্তু বিচার বিভাগের যখন একটা কিছু বলা হয়, প্রত্যেকেই তখন বিমাতাসুলভ আচরন করে।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ব্যপারে অনেক বক্তা বেশ কটাক্ষ করেন অনেক সময়। আমরা সহ্য করে যাই। সহ্য করে যাই কয়েকটা কারণে আমরা বিচারকরা সাধারণত কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রেসকে আমরা মিট করি না। পাছে মুখে ফসকে যদি কোনো কথা বলে যাই, হয়তো এতে অপব্যাখ্যা করা হবে। আমরা সাধারণত এই ধরণের প্ল্যাটফর্ম চাই। সেখানে কিছু কথা বলার সৌভাগ্য হয় আমাদের।
‘মাসদার হোসেন মামলায় প্রকতপক্ষে আপনারা জানেন, যে উচ্চ আদালতের বিচারকের কোনো দিনই সরকার বা কারও অধীনে ছিল না। এটা স্বাধীন ছিল।এটাতে প্রশ্ন উঠেছিল, নিন্ম আদালতের বিচারকদের ব্যপারে। মাসদার হোসেন মামলায় ১২ টি নির্দেশনা। এর মধ্যে মূল যেটি ছিল, দু:খজনক হলেও সত্য আমরা এখনও পাইনি।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ বলে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং নিয়ন্ত্রণ সেটা হাই কোর্টের ওপর ন্যাস্ত থাকবে।এখন নিন্ম আদালতকে যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং কন্ট্রোল যদি হাই কোর্টের থাকে আবার নিন্ম আদালতের বিচারকদের ডিসিপ্লিনারি রুলস ও ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন তারা যদি মিসকন্ডাক্ট করে থাকে, সেটা যদি নির্বাহীদের হাতে থাকে তাহলে তো কন্ট্রোল অ্যান্ড সুপারেনডিনডেন্স থাকল না হাই কোর্টের।’
উদাহারন টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি দেখলাম যে আমাদের একজন প্রখ্যাত হাই কোর্টের বিচারক একটা জেলা আদালতে পরিদর্শনে গিয়েছেন। উনি সেখানে একজন বিচারককের কিছু ইরেগুলেরটিস দেখে সুনিদিষ্ট ফাইন্ডিং দিয়েছেন। তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ও কিছু খারাপ মন্তব্য করেছেন। বললেন যে তার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি হওয়া উচিত।’
‘এখন সেখানে একটা ইনকোয়ারি হল। ..সুপারেনিডেন্স অ্যান্ড কন্ট্রোল ডিসিপ্লিনারি রুলস এখন সরকারের হাতেই। তারা বললেন না উনি তো একজন ভালো বিচারক। তার বিরুদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি। সুপারিশ করেছে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখনএখানে হাই কোর্টের যারা বিচারক আছেন, তারা আমাকে প্রশ্ন করছেন, কোর্ট পরিদশের জন্য আমাদের যে পাঠিয়ে দেন আমাদের কি সেখানে পরিদশনের দরকার আছে? বললাম কেন। আমরা যদি গিয়ে কোনো অ্যডভার্স রিমার্ক করি এর বিপরীতে তাদের পছন্দ মত একজন বিচারককে নিয়োগ করে সেবলে আমার রিমার্ক তো কারেক্ট না।’
‘আপনাদের কাছে তুলে ধরছি, আমরা আদৌ মাসদার হোসেনের রায়ের আজকে ১৪ বছর হয়ে গেল কি পেলাম?..নিন্ম বিচারকদের যদি আমরা প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা চাই তাহলে সংবিধানে যা আছে অনুচ্ছেদ ১১৬ এর সাথে যদি ১০৯ পড়ি তাহলে প্রকতপক্ষে ১১৬ কি বলে সেটার অর্থ পাওয়া যাবে। এই সাথে মাসদার হোসন মামলায় বলা হয়েছিল, ৭২ সংবিধানে যে বিধান ছিল সেখানে একটা পযবেক্ষন ছিল মূল ১১৬ যদি পূণবহাল না করা হয় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোনো দিনই থাকবে না, বিশেষ করে নিন্ম আদালতের বিচারকদের।
জনস্বার্থ মামলা নিয়ে
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “..কিছু পিটিশন যেগুলো চলে আসে, বেশ মুখরোচক বিষয়, টেলিভিশন ক্যামেরাসহ হাজির হয়ে যায়। এমন কিছু পিটিশন এতে হয় কি বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ইয়ে হয়ে যায়। বিচারকের শুনতে বাধ্য হয়, না হলে কি হবে। আপনারা চিন্তু ভাবনা করে এই জনস্বার্থ মামলা কোনগুলো করতে পারবেন, কোনগুলো পারবেন না এর ধরন ঠিক করে দিয়েছি।”
সংগঠনের সভাপতি আইনজীবী মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিষ্টার মঈন ফিরোজী। এতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে মূল প্রবন্ধে ১২টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।