কমলগঞ্জে ধলাই নদী ভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০১৫, ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ
জয়নাল আবেদীন,কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় ধলাই নদীর ভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার। দিনের পর দিন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী মানুষের বসতঘর। চৈতন্যগঞ্জ-উবাহাটা তথা নদী তীরের লোকজন সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও বাঁধ নির্মাণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আজও করা হয়ননি। অতিবৃষ্টিতে, পাহাড়ি ঢলে বন্যায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদীর তীরের কাছাকাছি শতশত পরিবার বসবাস করছে। ধাপে ধাপে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বসত-বাড়ি। আরও বেশ কয়েকটি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী কয়েকটি পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করার জন্য চলে যাচ্ছেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার দাশ, সমেরন্দ্র দাস, নুরুল হোসেন, রেনু মিয়া, সেলিম মিয়াসহ নদী তীরে বসবাসকারী লোকজন জানান, সর্বনাশা ধলাই নদীর কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন ধলাই পারের মানুষ। এখানে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফসল ফলে। ধলাই ভাঙনে বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ ফসল তলিয়ে যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তাই বন্যা মৌসুমের পূর্বে ধলাই নদীর বাঁধ মেরামতের নিকট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসরাইল মিয়া জানান, তিনি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটি কেটে বাঁধ মেরামত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ কম। এই কম বরাদ্দে ধলাই নদীর বাঁধ মেরামত সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মন্নান চৈতন্যগঞ্জ গ্রামে ধলাই নদীর তীরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে আমাদের হাতে কোন ফান্ড নেই। বিষয়টির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।