সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মে ২০১৫, ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ দুইজন নিহত হয়েছেন। আজ ১০ মে রোববার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের নন্দবালা খাল এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও একশ’ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানিয়েছে র্যাব।
নিহতরা হলেন- আলমগীর (৩৫) ও সদস্য রিপন (৩০)। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব বলছে, নিহতরা বনদস্যু মাইঝ্যা বাহিনীর সদস্য। এদের মধ্যে আলমগীর মাইঝ্যা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ও রিপন সদস্য।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির সকালে ঘটনাস্থল থেকে জানান, সুন্দরবনের বনদস্যু মাইঝ্যা বাহিনীর প্রধান মাইঝ্যা তার সহযোগীদের নিয়ে সুন্দরবনের নন্দবালা খাল এলাকায় অবস্থান করছে- এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর একটি দল সেখানে অভিযানে যায়।
তিনি আরও জানান, বনদস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটলে র্যাব সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে সুন্দরবনের জেলে ও বাওয়ালীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুইজনকে মাইঝ্যা বাহিনীর সদস্য বলে সনাক্ত করে।
মেজর আদনান জানান, এই বনদস্যু বাহিনীর প্রধান মাইঝ্যা নিজ নামে বাহিনী গঠন করে দলের সদস্যদের নিয়ে গত পাঁচ মাস ধরে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাইরেঞ্জের হারবাড়িয়া, ফেয়ারওয়ে বয়া এবং নন্দবালা খাল এলাকায় সুন্দরবনে আসা জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবিতে চাঁদা আদায় করে আসছিল।