বাংলাদেশ-ভারত নৌ-ট্রানজিট চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০১৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-ট্রানজিট চুক্তির মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ২০-২২ এপ্রিল ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল বুধবার সচিবালয়ে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসলে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে।
এর আগে নয়াদিল্লির বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি অংশ নেন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী বলেন, ‘বিদ্যমান চুক্তির আওতায় এটি তিন বছর পর পর নবায়ন করার কথা। এটি এখন ৫ বছর পর পর নবায়ন হবে। মেয়াদ শেষে চুক্তিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হবে। কোনো পক্ষ চুক্তি বাতিল করতে চাইলে ছয় মাস আগে জানাতে হবে।’
১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে প্রথম নৌ-প্রটোকল স্বাক্ষর হয়। এরপর থেকে নবায়নের ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে তা অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যমান নৌ-প্রটোকল সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর লেটার অব এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ৩১ মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ পরামর্শক কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুক্তির মেয়াদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পাদিত মূল দ্বিপক্ষীয় ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের মেয়াদ অনুসরণ করে একই নিয়মে সীমা নির্ধারণ করে আগামী ৩১ মার্চ ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাবে সম্মত হয়। এ বিষয়ে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়। এই দুই মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে সম্মত আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এর আগে ২০১২ সালেও বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছিল। ওই সময় ফি বাবদ বছরে ১০ কোটি টাকা প্রদানের জন্য ভারতকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। বর্তমানে ভারত ফি বাবদ সাড়ে ৫ কোটি টাকা দেয়। উল্লেখ্য, নৌ-প্রটোকলের আওতায় ভারত করিমগঞ্জ থেকে শেরপুর এবং আসামের দৈখাওয়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথ ব্যবহার করে।
এ প্রসঙ্গে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ভারতকে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশের নৌপথ প্রস্তুত থাকলেও সড়ক ও রেলপথ এখনো ততটা উপযুক্ত নয়। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রানজিটের আওতায় ভারতের ৩টি জাহাজ আশুগঞ্জ পর্যন্ত এসেছে।
এদিকে, দেশের জনগণকে না জানিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা সংবিধানবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দররক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।