বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে মনু সেচ প্রকল্পের পাম্প চালু না থাকায় কাউয়াদিঘি হাওরের ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০১৫, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ঢলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ায় মৌলভীবাজারে কাউয়াদিঘি হাওরের পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু অংশে বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা অর্ধ পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। এভাবে পানি বাড়লে এবং নিষ্কাশন পাম্প চালু না হলে হাওরের বোরো ধান উঠানো মুশকিল হবে। কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়াগেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ উপড়ে পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়া ও হেলে পড়ার কারণে ঐরাত ১২ টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঝড়ে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল ৩৩ কেভি লাইনের অন্তত ৬ টি খুঁটি ভেঙে গেছে। একটি হেলে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন লাইনের উপর বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ায় তার ছিঁড়ে গেছে, ইনস্যুলেটর ভেঙে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে সারা জেলায়।
অপর দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় মৌলভীবাজার মনু সেচ প্রকল্পের কাশেমপুর পাম্প হাউসের ঢলের পানি নিষ্কাশনের সেচ পাম্প বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানি জমে নিম্নাঞ্চলের বোরো ফসল ডুবে গেছে।
সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত হাওর কাউয়াদিঘির শালকাট্টা, রুকুয়া, কুশুয়া এবং শেওয়াইজুড়ি, মাছুখালি ইত্যাদি এলাকার বোরো ধানের ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা কোমরপানি, বুকসমান পানিতে নেমে অর্ধ-পাকা ধান কেটে তোলার চেষ্টা করছে। বিদ্যুৎ থাকলেও মনু ব্যারেজের কাশিমপুর পাম্প হাউসের ৮ টি পাম্প চালু রাখা হয় না। তার কৃষকরা এই দুর্গতিতে পড়েন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হোসাইন উদ্দিন সিদ্দিকী হাওরে পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন বিদ্যুৎ ছিল না মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ছ’টা পর্যন্ত। পরে তিন ঘণ্টা ৭ টি পাম্প চালু রাখা হয়। রাত ১২ টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে পাম্প বন্ধ হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. ফিরোজ কবীর জানান, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল ৩৩ কেভি লাইনের অন্তত ৭টি খুটি ভেঙে গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে প্রচুর গাছ লাইনের উপর পড়ার কারণে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মেরামতের কাজ মোটামুটি সমাপ্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ লাইন সচল করা সম্ভব হয়েছে।