মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবী: শিশুসহ নিহত ৫, নিখোঁজ ১২
প্রকাশিত হয়েছে : ২ এপ্রিল ২০১৫, ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালুভর্তি একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে শিশুসহ ৫ জন নিহত ও ১০ থেকে ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে গজারিয়া উপজেলার বসুরচর সংলগ্ন মেঘনা নদী অতিক্রম করার সময় বালুভর্তি ওই বাল্কহেড যাত্রীবাহী ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশ ও ডুবুরিদল এক শিশুসহ তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধর করেছে। নিহতদের মধ্যে মারিয়া (০৫) নামে এক শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে। সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মনির হোসেনের মেয়ে। অপর দুটি মৃতদেহ দুজন পুরুষের। তবে তাদের কারো পরিচয় জানা যায়নি।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলেদের জালে আরও দুই পুরুষের মরদেহ উঠে এসেছে। এরমধ্যে একজনের বয়স ৩০ বছর এবং অপরজনের ২২ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারো পরিচয়ই জানা যায়নি। এ নিয়ে ট্রলারডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ।
পুলিশ জানান, গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ফেরিঘাট থেকে মা-বাবার দোয়া নামের ওই ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার বেলতলী সোলায়মান ফকিরের (ল্যাংটা ফকির) মাজারে যাচ্ছিল। বুধবার রাতে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ভাষারচর গ্রাম সংলগ্ম মেঘনা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজদের সংখ্যা সঠিক ভাবে বলতে পারছে না কেউ। ১০/১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে অনুমান করছি।
তিনি হাবিবুর আরও জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের একটি দল এবং গজারিয়া থানা পুলিশসহ ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে। বালুবোঝাই ট্রলারটি আটক করেছে পুলিশ।