শেরপুরে প্রধান শিক্ষকের হাতে অফিস সহকারি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০১৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
বিশেষ সংবাদদাতা ::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক মিলে অফিস সহকারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ এলাকায় সমালোচনার ঝড় চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
জানা যায়, সদর উপজেলার আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে অফিস সহকারির সাথে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্য়ায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান অফিস সহকারি দীপক দাসকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। তার সাথে সহযোগিতা করে সহকারি শিক্ষক মফিজুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের আয়া কুলসুম বেগম তাদের বেপরোয়া আক্রমণ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্য শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তখন স্কুলে এসএসসি পর্যায়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি তাৎক্ষণিক জরুরি বৈঠকে বসে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ নজরুল বখত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হেড মাস্টার ও অফিস সহকারির মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা মীমাংসা ও দোষী ব্যক্তিকে সমুচিত শাস্তি প্রদান করতে সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন পিওন রানু পরিচয়ে একজন রিসিভ করে জানায় স্যার স্কুলে ফোন রেখে বাইরে গেছেন।