জৈন্তাপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী পলাতক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০১৫, ৬:১১ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সিলেটের জৈন্তাপুরের পাটনিপাড়া গ্রামে সোহাদা (২০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মা দাবি করছেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ময়না তদন্তের পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। সোহাদার ৩ মাসের এক কন্যা শিশুও রয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার বলেশ্বর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের স্ত্রী হামিদা বেগম জানান, দু বছর আগে তাদের মেয়ে সোহাদা বেগমকে জৈন্তাপুর উপজেলার পাটনিপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার কাছে বিয়ে দেন। বিয়ের পর নানা অজুহাত তুলে সোহাদাকে মারধর শুরু করে সোনা মিয়া। এরমধ্যে মাস তিন এক আগে তাদের কোল জুড়ে আসে সুমি নামের এক কন্যা সন্তান। তারপরও নির্যাতন থামেনি। গত ২৮ মার্চ শনিবার সকালে সোহাদা বাবার বাড়িতে অন্যদিনের মত ফোনে কথা বলে সে ভালো আছে বলে জানায়। এরপর ১১টারদিকে স্বামীর বাড়ি থেকে সোহাদা মারা গেছে বলে খবর আসে।
হামিদা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখেন সোহাদাকে গোসলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় গোসলদানকারী মহিলারা সোহাদার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানালে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় মুরব্বীরা পুলিশকে খবর দিলে জৈন্তাপুর থানার পুলিশ সোহাদার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসাপাতালে পাঠান।
গতকাল ২৯ মার্চ রোববার ময়না তদন্ত শেষে সোহাদার লাশ তার বাবার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার বলেশ্বর গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ময়নাতদন্ত পর্যন্ত সোহাদার স্বামী সোনা মিয়া লাশের সঙ্গেই ছিল। তবে লাশ বাড়ি নেয়ার পথে আমি পিছনে আসছি বলে চলে যায়। এরপর থেকে সোনা মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানান সোহাদার পরিবারের সদস্যরা।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলক চন্দ্র বসাক জানান, সোহাদার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্দেহ হলে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোনা মিয়ার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আরো গভীরভাবে দেখার নির্দেশ দেবেন বলে তিনি জানান।