শমশেরনগরে হানাদার প্রতিরোধ দিবস পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০১৫, ৫:০০ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেনসহ ৯ সেনা সদস্যকে হত্যা ও প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শমশেরনগর সাহিত্যাঙ্গনের আয়োজনে ২৮ মার্চ শনিবার বেলা ১২টায় দিবসটি পালন করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন গোলাম রসুলের নেতৃত্বে পাক বাহিনীর একটি টহল দল প্রতিদিনের মতো ১৯৭১ সনের ২৭ মার্চ শমশেরনগর এসে মিছিলকারীদের ছত্রবঙ্গ করে বয়োবৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম(৮০)কে নির্মমভাবে হত্যা করে। জবাবে মুক্তিপাগল এলাকাবাসী ক্যাপ্টেন মোজাফফর আহমদ, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদুর রহমান, আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে ছাত্রজনতা একত্রিত হয়ে তিনটি দালানের উপর অ্যাম্বুশ করে ২৮ মার্চ পরিকল্পিত হামলা চালালে ক্যাপ্টেন গোলাম রসুলসহ নয়জন পাক সেনা নিহিত হয়।
দিবসটিকে স্মরণ করতে ও সেদিনকার অংশগ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। শমমেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজ ও আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শমশেরনগর শহিদ মিনার চত্বরে মিলিত হয়। সুজা মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক শাহজাহান মানিকের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ ম মুর্শেদুর রহমান, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাস, মুক্তিযোদ্ধা দিপ্তী কুমার দাস, শহীদ পরিবার সদস্য আব্দুল মছব্বির, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মোজ্জাফ্ফর আহমদের মেয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।