লাঙ্গলবন্দের পুণ্যস্নানে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০১৫, ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন।
শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে মহাষ্টমী স্নানের লগ্ন শুরু হয়। এর পর থেকেই ভিড়ের চাপ বাড়তে থাকে। তবে স্নানের জন্য সবথেকে বেশি ভিড় দেখা যায় রাজঘাট ও প্রেমঘাটে। সেখানে সাড়ে ৭টার দিকে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের সাত জন নারী ও তিনজন পুরুষ।
নিহতরা হলেন-পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার মৃত বিজেন্দ্র লাল সাহার স্ত্রী সূচিত্রা রানী সাহা (৭০), নোয়াখালী জেলার কবিরহাটের অনিল চন্দ্র নাগের স্ত্রী বানু মতি নাগ (৫০) ও তার ছেলে নিতাই চন্দ্র নাগ (৩০), ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকার নিতাই চন্দ্র দাসের স্ত্রী ভগবতি দাস (৫০) ও তার মেয়ে রাহি দাস (২৮), কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের কালিপদ নন্দির ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র নন্দি (৫৫), গোপালগঞ্জ জেলার গোসালকান্দি গ্রামের নকুল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৫), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির নারায়ণ সাহার স্ত্রী কানন সাহা (৫০), কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের পরিমল সাহার স্ত্রী তুলশি দেবনাথ (৫২) এবং মানিকগঞ্জের বলাই চন্দ্র দাসের স্ত্রী মালতি দাস (৬০)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, নিহতদের লাশ পরিবহন ও সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এ পুণ্য স্নানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থী পুণ্য স্নানে অংশ নিতে আসে। ব্রহ্মপুত্র নদের মোট ১৩টি ঘাটে স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়
শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে মহাষ্টমী স্নান উৎসবের লগ্ন শুরু হয়। লগ্ন শেষ হবে শনিবার ভোর ৬টা ৫৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে।