জৈন্তাপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি ঘর ভস্মিভূত
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০১৫, ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সিলেটের জৈন্তাপুরের আসামপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। গতকাল ১০ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে অন্তত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সিলেট থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আগুনে আশ্রায়ন প্রকল্পের ৮নং ব্যারাকের ১০টি টিনশেড বাড়ি ভস্মিভূত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার সাথে সাথে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পরই সিলেট ফায়ার স্টেশনে খবর দেয়া হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ১০টি বসতবাড়ি ভস্মিভূত হয়। ব্যারাকের পাশে পানির সুবিধা না থাকায় ঘরের মালামাল রক্ষা করা যায়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি জানান, আশ্রায়ন প্রকল্পের ৮নং ব্যারাকের ১০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আশ্রায়ন সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তে পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো- বিরেন্দ্র কান্তি দেব, শেলী রাণী দেব, নিপা রাণী, সাবিত্রী মালাকার, প্রণতি রাণী দাস, হেলা রাণী দাস, রেখা রাণী বিশ্বাস, শেফালি রাণী দাস, কাজলী মালাকার ও দয়া রাণী মালাকার।
সিলেট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাবেদ হোসেন মো. তারেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন নেভাতে ৩টি ইউনিট কাজ করে। আগুনে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল। নগরী থেকে ২৫কি.মি. দূরে আগুন লাগায় সেখানে পৌঁছাতে কিছুটা দেরী হয়। তিনি আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বলে জানান। তিনি আরো জানান, তারা সেখানে যাওয়ায় আরো দুটি ব্যারাক রক্ষা করতে পেয়েছেন। ওই আশ্রায়ন প্রকল্পে তিনটি ব্যারাকে মোট ৩০টি পরিবার বসবাস করে বলে জানান তিনি।