পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মার্চ ২০১৫, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ
হেলথ ডেস্ক ::
পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করে। তুলসী, রসুন ও হলুদের মতো উপাদানগুলো এ রোগে সংক্রমণের শঙ্কা কমায়। ভারতের পুষ্টিবিজ্ঞানীরা খাদ্যাভ্যাসে সংক্রমণ প্রতিরোধী নানা উপাদান বাড়ানোর এ পরামর্শ দেন।
সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি প্রায় ১ হাজার ১০০ ভারতীয় মারা যান। নিরাপদ থাকার জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। নয়াদিল্লির নিউট্রি-হেলথ সিস্টেমসের পুষ্টিবিদ শিখা শর্মা বলেন, ‘কোনো মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেশি। তাই প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এজন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই সেরা উপায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংবলিত খাবারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। তাজা সবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।’ ভিটামিন সি সংবলিত খাদ্য গ্রহণের ওপরও জোর দিয়ে তিনি জানান, খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য আনতে মুরগি, মাছ, সয়াপণ্যও রাখতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে।
গবেষকরা জানান, তাজা গাজর, আমলকী ও পালংশাক সোয়াইন ফ্লুর জন্য দায়ী এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস দমন করে। হোল ফুডস ইন্ডিয়া নামে রেস্তোরাঁর প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ ইশি খোসলা বিভিন্ন ভেষজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তার মতে তুলসী, রসুন ও হলুদের সুবাদেও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে নেয়া যায়। তিনি বলেন, ‘রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কার্যকর কোষের সংখ্যা বাড়ায়। সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকর উপাদান হলুদ।’ পুষ্টিবিদরা আদা, সূর্যমুখী ও কুমড়ার বীজের গুণাগুণের কথাও উল্লেখ করেন।
সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণ উসর্গ ক্ষুধামান্দ। কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে অল্প করে হলেও একটু পর পর খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আক্রান্ত ব্যক্তির খাবারদাবার কিংবা পানীয় অন্যদের সঙ্গে শেয়ার না করারও পরামর্শ তাদের।
চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রেকর্ড করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাজেই সবাইকে সতর্কতার পাশাপাশি সুষম খ্যাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হতেও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।