কোম্পানীগঞ্জে নিষিদ্ধ ‘বোমা মেশিন’র বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মার্চ ২০১৫, ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে ‘অবৈধভাবে’ পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ‘বোমা মেশিন’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল ৮ মার্চ রোববার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকাধীন কালাইরাগে অভিযান চালিয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী ১৮টি বোমা মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে পাথর খেকোদের স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করা হয়।
হাইকোর্টের এক আদেশে বোমা মেশিন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশনার অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ নিয়ে দুইদিনে ৩২টি বোমা মেশিন ধ্বংস করা হলো। এর আগে গত ৭ মার্চ শনিবার ভোলাগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৪টি বোমা মেশিন জব্ধ করে আগুনে পুড়ানো হয়।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, পরিবেশ অধিদফতর সিলেটের ইন্সপেক্টর পারভেজ আহমদ, বিজিবির সুবেদার নিজাম উদ্দিন ও কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মিয়া আবুল কালাম আজাদসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু দুষ্কৃতকারী পাথর কোয়ারিতে বোমা মেশিন বসিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করছে। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার স্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, অবৈধ উপায়ে পাথর খেকো অথবা পরিবেশ ধ্বংসকারী যে-ই হোক, তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় নেই। এর আগে গত ৩ মার্চ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কোয়ারি এলাকা থেকে বোমা মেশিন সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করানো হয়। এরপরও বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন অব্যাহত থাকায় পরিবেশ অধিদফতর ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য ভোলাগঞ্জসহ দেশের সব পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনে ‘বোমা মেশিন’ নামের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। পাইপ বসিয়ে পাওয়ার পাম্পকে ব্যবহার করে এ যন্ত্র দিয়ে মাটির তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলন করা হয়। এতে করে ভুগর্ভের মাটির স্তর পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কায় ২০১০ সাল থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।