বড়লেখায় খাঁটি দুধের চাহিদা মেটাচ্ছে শীতল বাবুর ‘জীবন ডেইরি ফার্ম’
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মার্চ ২০১৫, ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ
২০০৯ সালে ১৮টি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী দিয়ে জীবন ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার শুরু করেন বড়লেখা উপজেলার তরুণ ব্যবসায়ী শীতল বাবু। পাঁচ বছরের ব্যবধানে শীতল বাবুর খামারে এখন শতাধিক দুগ্ধজাত গাভী রয়েছে। বর্তমানে শতাধিক গাভী ও বাছুর মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার গরু রয়েছে তার খামারে। গো-খাদ্য ও কর্মচারী মিলিয়ে প্রতি মাসে ব্যয় হয় ১০ লাখ টাকা। দুধ বিক্রি করে মাসে নিট আয় করেন ৩ লাখ টাকা।
এ.জে লাভলু, বড়লেখা ::
হাজারো ভেজালের ভিড়ে শীতল বাবুর ডেইরি ফার্ম খাঁটি দুধের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আগামীতে পাঁচ শতাধিক দুগ্ধবতী গাভীর ডেইরি ফার্ম করার আগ্রহ প্রকাশ করেন শীতল বাবু।
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওর পাড়ের তালিমপুর ইউনিয়নের আখালীমুরা গ্রামে ২০০৯ সালে ১৮টি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী দিয়ে শীতল বাবু শুরু করেন জীবন ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার। পাঁচ বছরের ব্যবধানে শীতল বাবুর খামারে এখন শতাধিক দুগ্ধজাত গাভী রয়েছে। বর্তমানে শতাধিক গাভী ও বাছুর মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার গরু রয়েছে তার খামারে। গো-খাদ্য ও কর্মচারী মিলিয়ে প্রতি মাসে ব্যয় হয় ১০ লাখ টাকা। দুধ বিক্রি করে মাসে নিট আয় করেন ৩ লাখ টাকা। বর্তমানে ভর্তুকী দিয়ে খামার চালালেও ভবিষ্যতে বাছুর বিক্রি ও ফার্ম সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা নিট আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ ব্যবসায়ী শীতল বাবু। বর্তমানে অর্ধেক গাভী গর্ভবতী হওয়ায় দুধ কম পাচ্ছেন তাই খরচ উপরে পড়ছে।
ফার্ম প্রতিষ্ঠার আগে তিনি নিডো কোম্পনির অধীনে ভারতে ডেইরি ফার্মের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। তার দুগ্ধ খামারটি এলাকায় আত্মকর্মসংস্থানের একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ফার্মের প্রক্রিয়াজাত দুধ প্রতিদিন বড়লেখার চাহিদা মিটিয়ে সিলেট শহরের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ হচ্ছে।
শীতল বাবু জানান, তিনি গত ৬ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে দুগ্ধজাত গাভী পালন ও দুধ বিক্রি করে আসছেন। মাত্র ১৮ টি গাভী নিয়ে তিনি খামার শুরু করলেও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রিজিয়ান, শাহীওলান ও নেপালী জাতের ১০০টি গাভী পালন করছেন। বর্তমানে ৪৭টি দুগ্ধজাত গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ লিটার দুধ দোহন করেন। তবে তিনি জানান, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় গাভী পালনের ব্যয় আগের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আগামীতে ৫ শতাধিক গাভীর ডেইরি ফার্ম সম্প্রসারণের ইচ্ছা রয়েছে। এতে বড়লেখাসহ পার্শবর্তী উপজেলাগুলোতে গরুর খাঁটি দুধের চাহিদা মোটানোর পাশাপাশি অর্ধশত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।