কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানে সংঘর্ষ, আহত ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ মার্চ ২০১৫, ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানে এক চা শ্রমিকের হাজিরা বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বসত ঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ চা শ্রমিক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় চা বাগানে বিবেদমান দু’পক্ষের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাজার লাইনের আখড়ার সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে।
চা শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইনের বাসিন্দা চা শ্রমিক রামিয়ার হাজিরা মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করেন বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সিপন চক্রবর্তী। এ নিয়ে বাজার লাইনের আখড়ার সামনে রামিয়া কুর্মি সাথে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সিপনের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাতবিতণ্ডা হলে পঞ্চায়েত সভাপতির সাথে থাকা লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে রামিয়া কুর্মি ও পঞ্চায়েত সভাপতির অনুসারী রাম রতন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সিপনের সহযোগী সোনা অলমিক, রাম সানাই দাস, আমুল মিয়া, রাম রতন দাস ও মহাদেব মাদরাজির নেতৃত্বে কতিপয় শ্রমিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় চা শ্রমিক রামিয়ার বসত ঘরে। হামলাকারীরা পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। হামলায় মালা কুর্মি, প্রতাপ রাজগড়, রামিয়া কুর্মিসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় চা বাগানে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলেমান মিয়া, বাগান ব্যবস্থাপক সামছুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল হক একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
চা শ্রমিক রামিয়া কুর্মি বলেন, হামলাকারীরা বসত ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ প্রায় ২ লাখ টাকা লুটপাট করে নেয়। বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সিপন চক্রবর্তী বলেন, রামিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাজে না যাওয়ায় তার স্থলে অন্য লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলায় তিনিও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় বাগানের চা শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। বসত ঘরে হামলা ও লুটপাটের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রামিয়ার বাড়ির সীমানাবেড়া ভাঙচুর করা হলেও বসত ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।