হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ মার্চ ২০১৫, ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
১৭৯৮ মিটার বা ৫৮০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুর শতবর্ষ পালনে রেল বিভাগের কোন আয়োজন না থাকলেও স্থানীয়রা সাড়ম্বরেই পালন করছেন – হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর।
উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক পাকশী রেলওয়ে কলেজের সাবেক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, উদীচী, খেলাঘর ও স্পন্দন যৌথভাবে নানা অনুষ্ঠান করছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে। এসব আয়োজনে থাকছে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ইতিহাসবিদদের নিয়ে আলোচনা সভা।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ রেল সেতু অত্যন্ত ঐতিহাসিক। এটি নিয়ে আমাদের মধ্যে আবেগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে এ সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তাতে এটি সংস্কার হয়েছে। সব মিলিয়ে এর শতবর্ষ আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন জানান, “সেতুটির বয়স একশ বছর হওয়ার পরও এটিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এছাড়া মৈত্রী ট্রেন ভারতে যায় এ সেতুর উপর দিয়েই। আবার ভারত থেকে দর্শনা হয়ে মালবাহী ট্রেনকেও এ সেতু ব্যবহার করতে হয়। এ সেতুটি তাই বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার একটি”।
রেলওয়ে ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১৮৮৯ সালে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সাথে কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে ১৯০৯ সালে ব্রিজ নির্মাণের সার্ভে শুরু হয়।
২৪ হাজার শ্রমিক দীর্ঘ ৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। সেতুটির নির্মাণে তখন ব্যয় হয়েছিলো প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ব্রিজটিতে ১৫টি স্প্যান আছে। ৪ঠা মার্চ ১৯১৫ সালে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়।
তৎকালীন ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। তাঁর নামানুসারে ব্রিজটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।