আজও আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ মার্চ ২০১৫, ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর আইনজীবীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
এ দুই মামলায় এর আগের তারিখে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ আদালতে যেতে পারেন।
আজ সকালে সংশ্লিষ্ট আদালতে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওমর ফারুক, মহসীন মিয়া প্রমুখ আইনজীবীরা। গতকালও খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়।
তবে এরই মধ্যে আদালতে হাজির হয়েছেন বাদীপক্ষের (দুদক) সাতজন সাক্ষী।
ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে এ দুই মামলার বিচারকাজ চলছে।
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে আমাদের একজন প্রতিনিধি জানান, খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কোনো তৎপরতা বা প্রস্তুতি নেই। এমনকি খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কার্যালয়ের বাইরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবীরা বললে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন। তা না হলে তিনি যাবেন না।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, এ দুই মামলায় খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করাসহ একাধিক আবেদন নিষ্পত্তির পরই পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
অন্যদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আরাফাত রহমানের চেহলাম উপলক্ষে কিছুক্ষণ পরই গুলশান কার্যালয়ে কোরআন পাঠ শুরু হবে।
এই দুই মামলায় গত বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় ২২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিনও খালেদা জিয়া অনুপস্থিত ছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায়ের পরিবর্তে আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদা জিয়া, তারেকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ এবং ২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক।