হরতাল, অবরোধ আর ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জের টমেটো চাষীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু অব্যাহতভাবে হরতাল, অবরোধের ফলে কম দামে টমেটো বিক্রি করছেন চাষীরা। আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে টমেটো ঝড়ে ও গাছ ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। গত শনিবার ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির সরজমিন এসব এলাকায় গেলে কৃষকদের অভিযোগ করেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মওসুমে জেলায় মোট ৯৪৬ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। ২০০৮ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এছাড়াও বেগুন, ফুল কপি, বাঁধাকপিসহ শীতকালীন শাক সবজির ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। সার, বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরিসহ রবিশস্য উৎপাদনে ব্যাপক পুঁজি বিনিয়োগ করলেও টানা হরতাল আর অবরোধের কারণে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সংরক্ষণাগার না থাকা, যানবাহন সমস্যা ও পাইকারদের অনুপস্থিতি সব মিলিয়ে পানির দামে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলার রানিরবাজারের মোমিন খান, মানিক মিয়া, তিলকপুরের জমশেদ মিয়া, ব্রজেন্দ্র মোহন সিংহসহ কৃষকরা বলেন, টানা হরতাল, অবরোধের কারনে টমেটো কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ফলে উৎপাদন খরচ তোলতেও হিমশিম দেখা দিয়েছে। কৃষকরা আরও বলেন, বাজারে টমেটোর কেজি ২০ টাকা হারে বিক্রি হলেও কৃষকরা সেভাবে মূল্য পাচ্ছেন না। এতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত হলেও মধ্যস্বত্বভোগীরাই লাভবান হচ্ছেন।
গত ৫দিন পূর্বে আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়ে গাছ থেকে টমেটো ঝরে পড়ে এবং গাছের ডালপালা ভেঙে মাটির সাথে মিশে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। এ উপজেলায় কোনো সংরক্ষণাগার না থাকায় কৃষকরা আরও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং একটি সংরক্ষণাগার স্থাপনেরও দাবি জানান কৃষকরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দীন আহমদ বলেন, এবার টমেটোর ভালো চাষাবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে। তবে এখানে একটি হিমাগার বা সংরক্ষণাগার থাকলে সেটি কৃষকদের জন্য আরও ভালো হতো এবং কৃষকরা বিপুল উৎসাহ নিয়ে কৃষিতে অধিকতর মনোযোগী হতেন।