বিএনপি-জামায়াত না হয়েও জেল খাটছেন ব্যবসায়ী রিপন বৈদ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ৭:২১ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
রিপন বৈদ্য (২২) উপজেলার টেংরা বাজারের একজন পান বিক্রেতা। রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাসহস্র গ্রামের রঞ্জিত বৈদ্যের ছেলে। গত ৫ জানুয়ারি দোকানের পান আনার যাচ্ছিলেন শ্রীমঙ্গল। মৌলভীবাজার শহরে গিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করার জন্য গিয়েছেলিনে পশ্চিমবাজার স্ট্যান্ডে। ওই সময় বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের হরতালের পক্ষের মিছিল। মিছিলটি মৌলভীবাজারের কুসুমবাগ এলাকায় সমাবেশ শেষে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের ভয়ে রিপন বৈদ্য ঢুকে পড়েন পাশের একটি চা স্টলে। পুলিশ তাকেসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর থানার এসআই নূর মিয়া বাদি হয়ে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা (নং-৭) করেন।
কিন্তু পুলিশের হাতে আটক রিপন বৈদ্যের রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই। কোন দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি তার পরিবারের। বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে দাবি করেছেন তার চাচা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রীপদ বৈদ্য। তিনি বলেন, আমরা হিন্দু মানুষ। কোন দলের সঙ্গে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। পুলিশের হাতে আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ায় আমরা বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কোন কোন ফল পাইনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, টেংরা বাজার ব্যবসায়ীরাও তার সম্পর্কে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা বলেছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমাদের পরিবার সম্পর্কে আওয়ামীলীগের নেতারাও জানেন। কিন্তু কোন দল না করেও তাকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী বানিয়ে জেলে দেয়া হল।
টেংরাবাজারের ব্যবস্যায়ী সমিতির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা টিপু খান, রাজনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ সালেকও তার ব্যাপারে প্রত্যয়ন দিয়েছেন। রাষ্ট্র বিরোধি কোন কাজে সে জড়িত নয় বলেও তাদের দাবি। ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান বলেন, সে একজন ভালো ব্যবসায়ী। বিএনপি-জামাতের সঙ্গে তার কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। তাকে ভুল ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ সালেক বলেন, সে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাকে আমি ভালো ভাবে চিনি। সে কখনই বিএনপি জামাতের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তার পরিবারের সম্পর্ক আওয়ামীলীগের সঙ্গে এটা এলাকার সবাই জানে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দীন বলেন, আসলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছিল। সচ্ছভাবেই তদন্ত চলছে। তদন্তে সে যদি নিরপরাধ হয়ে থাকে তাহলে সে এতে দোষী হবে না।