পদ্মায় লঞ্চডুবি: ৬৯ মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, সোমবার সকাল প্রায় ৯টার দিকে উদ্ধার তৎপরতা শেষ হলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। এর আগে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এমভি মোস্তফাকে ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে দড়িকান্দিতে আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ভোররাতে ২৩টি ও সকালে আরো ৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় মোট ৬৯ মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।
গতকাল রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়াগামী ওই লঞ্চটিতে অন্তত দেড়শ’ যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃত কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কুষ্টিয়া কুমারখালীর মদুসুদন সাহা ও মোহাম্মদ নাসির, রাজবাড়ীর নবীজান, জয়নাল শেখ, মেহেদী হাসান, ঢাকার নবাবগঞ্জের সুফিয়া ও শিশু ফারজানা সুমি, গোপালগঞ্জের শিশু জুনায়েদ শেখ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া ঘাটের পোর্ট অফিসার এনামুল হক ভূঁইয়া জানান, ” রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় অন্তত দেড়শ’ যাত্রী নিয়ে ‘এমভি মোস্তফা’ পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি বাঘাবাড়ির দক্ষিণে ‘এমভি নার্গিস’ নামের একটি কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চটি কাত হয়ে ডুবে যায়। এরপর সাঁতরে এবং স্থানীয় নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে ৭০/৮০ জন যাত্রী তীরে উঠেন।’
এদিকে, ওই লঞ্চের যাত্রী ৬ মাসের এক শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে উথুলিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ লঞ্চডুবির ঘটনা শোনার পরপরই নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার তৎপরতা তদারকি করেন। লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে, এ ঘটনার পর ‘এমভি নার্গিস’ কার্গোটির মাস্টার ইকবাল হোসেন ও সারেং শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পাটুরিয়া নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ। এছাড়া ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর।