৪ কোটি টাকা মূল্যের জমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা
রাজনগরে আশ্রমের জমি নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
আব্দুর রহমান সোহেল ::
রাজনগরের ফতেহপুর ইউনিয়নের বিলবাড়ি গ্রামে ৪ কোটি টাকা মূল্যের জীউ আশ্রমের জমিতে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আশ্রমের জমি বেহাত ও এর অর্থ আত্মসাতের আশঙ্কায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে আশ্রমের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত এনিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফতেহপুর ইউনিয়নের বিলবাড়ি গ্রামে প্রায় ৩শ’ বছরের পুরনো ‘শ্রী শ্রী কানাই লাল জীউ আশ্রম’ রয়েছে। ওই আশ্রমে বিলবাড়ি, লামা বিলবাড়ি, যাত্রাপুর, ও তুলাপুর গ্রামের বাসিন্দারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানাধি করে থাকেন। আশ্রমের পার্শবর্তী খেয়াঘাটবাজারে আশ্রমের নামে ১১নং জেএল এর ৬৫৫৬ দাগে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩৪ শতক জমি রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়ের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়ে এলেও সম্প্রতি ওই আশ্রম কে কেন্দ্র করে গোপনে তুলাপুর গ্রামের নৃপেন্দ্র কুমার দাসকে সভাপতি ও বিলবাড়ি গ্রামের নারায়ন দাসকে সম্পাদক করে একটি কমিটি সৃষ্টি করা হয়। ওই কমিটি আশ্রমের মূল্যবান জমিতে মার্কেট নির্মাণের জন্য গত ১৯শে জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্থার কাছ থেকে একটি ‘প্রজেক্ট কমিটি’ বানিয়ে নেয়। তরিঘরি করে ওই কমিটি গত ২৮ জানুয়ারী মার্কেট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, মুজিবুর রহমান, স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান লয়লুছ, পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাসসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিলবাড়ি, লামা বিলবাড়ি, যাত্রাপুর, ও তুলাপুর গ্রামের লোকজন বৈঠক করে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণের বিরোধীতা করে গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেন। লিখিত আবেদেনে স্বাক্ষরকারী গনেশ দাশ, গুনেন্দু লাল দাস মানস বলেন, একটি ভূমিখেকো ও অর্থলিপ্সু চক্র আশ্রমের ৪ কোটি টাকা মূল্যের জমিতে মার্কেট নির্মাণের কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা বলেন, জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সনাতন ধর্মালম্বী সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নবগঠিত আশ্রম কমিটির সম্পাদক নারায়ন দাস বলেন, এলাকার সবাইকে নিয়েই কমিটি করা হয়েছে। আশ্রমের জমি বেহাত না হওয়ার জন্যই একটি মার্কেট নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে কমিটির লোকদের অর্থ আত্মসাতের কোন উদ্দেশ্য নেই।
এব্যাপরে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমানের মোবাইলে ফোন দিলে (১৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ২.৪৩ মিনিটে) তিনি রিসিভ করেননি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে অভিযোগ দেয়া হলে এতোদিনে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। আমি বিষয়টি দেখছি।