কমলগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ডবলছড়া চা বাগানে ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার স্ত্রীকে হত্যার পর ঘর তালাবদ্ধ করে রাখে পাষণ্ড স্বামী। হত্যার দুইদিন পর তালাবন্ধ ঘর খুলে ঘাতক স্বামী তার স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে নাটকীয়ভাবে চিৎকার করে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তার নিজের গলায় দা লাগিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। আহত অবস্থায় ঘাতক স্বামীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতেই পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে।
ঘটনার ৩দিন পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাতক রাজু কুর্মী(২২) গত মঙ্গলবার যে কোন এক সময় তার স্ত্রী লসমী কুর্মী(১৮)কে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। পরে লাশটি ঘরের মাঝে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে। হত্যার ২দিন পর সে বুধবার বেলা তিনটায় ঘরের তালা খুলে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে তার স্ত্রী বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। ওইদিন সন্ধ্যায় লাশ ঘরে রেখেই একটি দা দিয়ে তার নিজের গলায় আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের জন্য রাতেই তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী রাজুকে আটক করছে পুলিশ। সে বর্তমানে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশী পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত লসমী কুর্মির পিতা সত্যনারায়ন কুর্মী বলেন, বিয়ের ৯মাস অতিবাহিত হয়েছে এরমধ্যে স্বামীর একটি মেয়ের সাথে প্রেম থাকার কারণে ৩বার বালিশ চাঁপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এব্যাপারে শালিশ-বৈঠকে বিষয় শেষ হয়েছে। তিনি তাঁর মেয়ে হত্যার বিচার চান।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার সার্কেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবারে তার ঘরের লোকজনকে বলে তার স্ত্রীর প্রশ্রাবের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে ডাক্তারে নিতে হবে। কিন্ত আসলে সে ওইদিন কোনও এক সময় তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যা করছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা গিয়েছেন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হবে। তার পর আটক স্বামীকে এ মামলা গ্রেফতার দেখানো হবে।